সরকারিভাবে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠনের দাবি
বর্তমান স্বাস্থ্য বাজেটে রোগ প্রতিরোধ গুরুত্ব পাচ্ছে না। স্বাস্থ্য বাজেটের সিংহভাগ চলে যাচ্ছে হাসপাতাল ও মেডিকেল ব্যবস্থাপনায়। যার ফলে বেড়ে যাচ্ছে চিকিৎসা ব্যয়। তাই চিকিৎসা ব্যয় কমাতে সরকারিভাবে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট।
আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে এ সময় খেলাধুলার প্রতীক হিসেবে ব্যাট-বল, সুস্থতার প্রতীক হিসেবে সবুজ শাক-সবজি সামনে রাখতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনসাধারণকে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা প্রদান রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে দেশে ‘হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করে রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা শক্তিশালী করা সম্ভব।
তারা বলেন, বর্তমানে মোট মৃত্যুর ৬৯ শতাংশের কারণ অসংক্রামক রোগ। সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বিগত সময়ে কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে কোভিড ১৯ সেটিও বাড়িয়ে দিয়েছে। সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগে বহু মানুষ অসুস্থ থাকার ফলে চিকিৎসকদের ব্যস্ততা ও মানসিক চাপ বাড়ছে। যা রাষ্ট্রের পুরো স্বাস্থ্য ব্যবহারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা জরুরি। জনগণকে সুস্থ রাখা সম্ভব হলে চিকিৎসকদের অত্যধিক চাপ কমে আসবে এবং তারা নানাবিধ গবেষণায় মনোনিবেশ করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
তারা আরও বলেন, রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। রোগ হবার পর নিরাময় নয়, প্রতিরোধ ব্যবস্থার দিকে জোর দেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, ব্যায়াম ও হাঁটা-চলা ও জীবনাচারের পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ করা। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিতের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রচারণা, বিজ্ঞাপনের কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন হতে পারে কার্যকর সমাধান।
মানববন্ধনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজিব, মিঠুন বৈদ্য, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এইচকে