রাজস্ব খাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ১৮ মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৮৬ জন কারিগরি শিক্ষক।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কারিগরি শাখার সভাপতি সুমন হায়দার।

সুমন হায়দার বলেন, কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর মানোন্নয়ন ও শিক্ষকস্বল্পতা দূরীকরণের জন্য ২০১০ সালের জুলাইয়ে সরকার স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেন, যা ধারাবাহিকভাবে ২০১৯ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান ছিল। ওই প্রকল্পের আওতায় সরকার দেশের ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নিয়োগবিধির সকল কোটা অনুসরণ করে দুই ধাপে ১০১৫ জন শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করেন (বর্তমানে কর্মরত ৭৭৭জন)। বিগত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারের থোক বরাদ্দ খাত থেকে ৭৮৬ জন শিক্ষকের বেতন ভাতাদি পরিশোধ করা হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন/নির্দেশনা থাকার পরও রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সম্পাদন করা হয়নি। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে আমরা বিগত ১৮ মাস বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর ও উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছি। এ অবস্থায় ৭৮৬ জন শিক্ষক ও তাদের পরিবার-পরিজন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার ও বেতন ভাতা প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে মোস্তফা কামাল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কারিগরি শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ছাওরা পারভীন ও আমিনুল ইসলাম, বীর বিক্রম শাহ আলী আকন্দের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর মেহেদি হাসান দানিয়াল প্রমুখ।  

এমএইচএন/এনএফ