জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ও পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আধুনিক প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতার আলোকে বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন কর্মকর্তাগণকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (বন) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষকদের ২ মাসব্যাপী ‘ওরিয়েন্টেশন কোর্স’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে দেশের মোট ভূমির ১৬ শতাংশ বনায়নে উন্নীত করতে হবে। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমাণ ২৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করেতে হবে। 

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলে বনের অবক্ষয় ও উজাড় প্রতিরোধ করে সরকারের নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর হয়ে কাজ করার জন্য নতুন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

শাহাব উদ্দিন বলেন, নবীন সহকারী বন সংরক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দিক নির্দেশনার আলোকে মেধা, জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগ করে জলবায়ু মোকাবিলায় সরকার গৃহীত নীতিমালা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বোপরি আধুনিক বন ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগ নিশ্চিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সামিল হতে হবে।
 
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বন অধিদফতরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক (শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উইং) মো. মাঈনুদ্দিন খান ও চট্টগ্রাম ফরেস্ট একাডেমির পরিচালক মো. ছানাউল্যা পাটওয়ারী। 

পরে মন্ত্রী ২১ জন নবনিযুক্ত সহকারী বন সংরক্ষকদের মাঝে সনদপত্র ও মেধা তালিকায় স্থান প্রাপ্তদের ক্রেস্ট বিতরণ করেন।

কেএম/ওএফ