চীন থেকে এ ফোর সাইজ প্রিন্টিং পেপারের ভেতরে লুকিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ১ কোটি ৬২ লাখ পিস সিগারেটের জাল স্ট্যাম্প জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এতে ১২০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল চট্টগ্রামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজভী।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের জুবিলী রোডের আরফাত এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে এ ফোর সাইজের প্রিন্টিং  পেপার ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বিল অব অ্যান্ট্রি দাখিল করে।

কাস্টম সূত্রে জানা গেছে , চালান আনার পর কন্টেইনার নামিয়ে বন্দরের অভ্যন্তরে নিয়ম অনুযায়ী পণ্য পরীক্ষা শুরু করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। পণ্য চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষার লক্ষ্যে সব পণ্যের প্যাকেট কেটে কায়িক পরীক্ষা  পরিচালনা করা হয়। পরীক্ষাকালে লো এবং মিডিয়াম সেগমেন্টের সিগারেট স্ট্যাম্প পাওয়া যায়।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর চীন থেকে আর্ট পেপারের ভেতরে লুকিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ৩ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার পিস সিগারেটের জাল স্ট্যাম্প জব্দ করেছিলো চট্টগ্রাম কাস্টমস।

উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এসআরও নং ১৮১-আইন/২০১৯/৩৮-মূসক তারিখ: ১৩ জুন, ২০১৯ সালের বিধি ১১ এর উপবিধি (৫) অনুযায়ী, স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। বিধি (৬) অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃক দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এবং সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি প্রতি ৩ (তিন) মাস অন্তর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সিগারেট স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল সরবরাহ ও ব্যবহার আড়াআড়ি যাচাইপূর্বক প্রতিবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূসক বাস্তবায়ন শাখায় প্রেরণ করতে হয়। ফলে এ জাতীয় পণ্য দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করার কোনো সুযোগ নেই।

কেএম/এসকেডি