ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ড্যাপে (২০১৬-৩৫) বিভিন্ন এলাকায় নির্দিষ্টভাবে ভবনের উচ্চতা সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ড্যাপে নির্দিষ্টভাবে ভবনের উচ্চতা সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ( রাজউক) প্রণয়নাধীন ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এ তথ্য জানান। 

ড্যাপ পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, নতুন ড্যাপে (২০১৬-৩৫) এলাকাভিত্তিক ভাবে রাস্তা প্রশস্তকরণসহ স্কুল, কলেজ ও নাগরিক সুবিধাদি প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে জনঘনত্ব জোনিংয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই মহাপরিকল্পনায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমির মালিকরা একত্রে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন, মেট্রোরেল স্টেশনের আশেপাশে ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়ন, নিম্নবিত্তের জন্য আবাসন নির্মাণ, উন্নয়নস্বত্ব বিনিময় প্রভৃতি ক্ষেত্রে জনঘনত্ব ও এফএআরের প্রণোদনা প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া সময়ের বিবর্তনে একটি এলাকার নাগরিক সুবিধাদি যেমন স্কুল ও খেলার মাঠ এবং সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতি ঘটলে অধিক জনঘনত্ব ও এফএআর প্রদানের প্রবিধান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি এলাকার রাস্তার প্রশস্ততা, খেলার মাঠ, স্কুল ইত্যাদির পর্যাপ্ততার উপর ভিত্তি করে ভবনের উচ্চতা নির্ধারিত হবে। ড্যাপে চিহ্নিত বাণিজ্যিক এলাকা এবং প্রশাসনিক এলাকায় সুউচ্চ ভবনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের আবাসন নির্মাণের মাধ্যমে নতুন ড্যাপে যে এফএআর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে তা সন্দেহাতীতভাবে আবাসন শিল্পকে একটি নতুন মাত্রা দেবে এবং বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে আবাসন সুবিধার আওতায় আনবে।

ঢাকা মহানগরীকে একটি বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক ভাবে সকল অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নগর পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ মতামত, সমীক্ষা ও গবেষণার ভিত্তিতে নতুন ড্যাপের প্রস্তাবনাসমূহ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে ড্যাপ কী অবস্থায় আছে এমন প্রশ্নের জবাবে ড্যাপ পরিচালক বলেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ড্যাপ (২০১৬-৩৫) এর জনঘনত্ব ও এফএআরসহ অন্যান্য বিষয়াদি আরও অধিকতর যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শুধু ইট-পাথরের শহর নয়, বরং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়ে তোলার জন্য ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (২০১৬-৩৫) সফল বাস্তবায়নের বিষয়ে সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।

এএসএস/এসকেডি