নীলফামারীতে অভিযান চালিয়ে একটি টয়োটা জিপ গাড়ির সিলিন্ডার থেকে অভিনব কায়দায় পাচারকালে ৯১ হাজার ৮৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

গ্রেফতার মাদক কারবারির নাম ইমরান হোসেন (৪২)। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জের দাড়িপাতন গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নীলফামারী সদর থানাধীন বড় বাজার ট্রাফিক মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের একটি দল।

এ সময় মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও ৭ হাজার ২০০ টাকা জব্দ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে জব্দ করা ইয়াবার এটি অন্যতম বড় চালান।

অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এটিইউ নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে শুক্রবার রাতে নীলফামারীতে মাদকের চোরাচালান হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ইমরান হোসেন গত ২১ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং এলাকার জুবায়ের জুয়েলের (৩০) কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করতে যায়। জোবায়ের জুয়েল টেকনাফ থানার সাবরাং এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট। নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা হয়ে নীলফামারী জেলাসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তার ইয়াবা পাচারের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক আছে।

বগুড়া জেলার সদর থানাধীন ফুলবাড়ি এলাকার বিপুল (৩৬) ও নীলফামারী জেলার সদর থানাধীন সুজন (৩৫) নামে দুইজনসহ অন্য সহযোগীরা বগুড়াসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাসমূহে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে যুক্ত।

তাদের নির্দেশে গ্রেফতার ইমরান হোসেন ইয়াবার চালান কক্সবাজারের জুবায়ের জুয়েল নামে একজনের কাছ থেকে এনে তাদের সরবরাহ করত। এবারের চালানটি নিয়ে সে গতকাল শুক্রবারই কক্সবাজার থেকে রওনা করেন।

জুবায়ের জুয়েল অভিনব কায়দায় গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতরে ইয়াবা প্যাকেট করে দেয়। এভাবে ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকটি ইয়াবা চালান টেকনাফ-চট্টগ্রাম-গাজীপুর-সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়া ও নীলফামারীতে সুজন ও বিপুলের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন গ্রেফতার ইমরান।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, তারা ৪ জন ও অন্যান্য কয়েকজনের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে এইভাবে টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে নীলফামারী, বগুড়া ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে পাচার করে আসছিল। 

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং এলাকার জুবায়ের জুয়েল, বগুড়া জেলার সদর থানাধীন ফুলবাড়ি এলাকার মো. বিপুল ও নীলফামারী জেলার সদর থানাধীন সুজন এরা প্রত্যেকেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং একাধিক মাদক মামলার আসামী। গ্রেফতার ইমরান হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় শনিবার নীলফামারী সদর থানায় মামলা হয়েছে।

জেইউ/আইএসএইচ