বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর  গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, বস্ত্রখাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নীতিগত সহায়তা করতে সরকার সচেষ্ট থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার কারণে বস্ত্রখাত জাতীয় রফতানির ধারাকে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

আজ (সোমবার) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে বিজিএমইএ-এর প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিজিএমইএ প্রতিনিধিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্রখাতকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষম শক্তিশালী, নিরাপদ ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 
বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য ‘বস্ত্র নীতি ২০১৭’ ও ‘বস্ত্র আইন ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
মন্ত্রী বলেন, সরকার বস্ত্রখাতকে সুসংহত রাখতে নীতিগত সহায়তার পাশাপাশি এ খাতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, তাঁত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে। 

বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ ধরনের আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসএইচআর/এনএফ