বিদেশগামীদের স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে বিএমইটি
বিদেশগামী কর্মীদের ভোগান্তি কমাতে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ক্লিয়ারেন্স স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে বিএমইটি সম্মেলন কক্ষে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানে কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার দায়িত্বশীল অবদান’ এ কথা বলেন বিএমইটির মহাপরিচালক।
বিজ্ঞাপন
শহীদুল আলম বলেন, ‘বিএমইটি স্মার্ট কার্ডের আইডিয়া পরিবর্তনের কথা ভাবছি। এখন যে স্মার্ট কার্ড আছে সেটি আমাদের মেশিন ছাড়া স্ক্যান করার উপায় নেই। তাই বিদেশগামীদের ঝামেলা কমাতে স্মার্ট কার্ডের বদলে স্মার্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা চিন্তা করছি। নতুন সিস্টেম চালু করা গেলে সেখানে কিউআর কোড থাকবে। যেটি স্ক্যান করে যাচাই করা যাবে। ব্যবস্থাটি এমন হবে যে, এটি মোবাইল থেকে স্ক্যান করে যাচাই করা যাবে।’
এ প্রক্রিয়া চালু হলে বিদেশগামীদের ঝামেলা কমবে উল্লেখ করে বিএমইটির মহাপরিচালক বলেন, ‘বিদেশগামীদের বিএমইটিতে আসতে হবে না। আমরা চাই বিদেশ যাওয়া সহজ করতে। আমরা চাই না তারা কষ্ট করে এখানে আসুক। এখানে আসতে তাদের নানা খরচ আর ঝামেলাতো আছেই। আমাদের দেশে যে টিকা কার্যক্রম হলো, সেখানে যার যার সার্টিফিকেট তিনি নিজেই ডাউনলোড করেছে। ঠিক এখানেও যেন তাদের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হলে তারা ডাউনলোড করতে পারে।’
বিজ্ঞাপন
এ সময় বিএমইটির মহাপরিচালক জানান, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসীর মধ্যে প্রায় ৮০ লাখের মতো প্রবাসীকে স্মার্ট কার্ড দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রবাসীদের অভিযোগ শুনানি জেলা পর্যায়ে নেওয়ার চিন্তা
প্রবাসীদের যেকোনো ধরনের অভিযোগ শুনানি জেলা পর্যায়ে করতে চান বলে জানিয়েছেন বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি, অভিযোগের শুনানি জেলা পর্যায়ে নিয়ে যাব। এতে করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে গ্রামে গিয়ে শুনানি করতে হবে। শহরে তারা তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে। গ্রাম বা জেলা পর্যায়ে এটা নিয়ে যাওয়া হলে তাদের বিদেশগামীরা সুবিধা পাবে। রিক্রুটিং এজেন্সি চাইলেই যা ইচ্ছে তা করতে পারবে না। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল গ্রামে গিয়ে তাদের সামনে তারা সাক্ষী দিক।’
এতিমদেরও বিদেশ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে
সমাজসেবা অধিদফতরের অধীনে থাকা এমিতখানার বাচ্চাদের, যুব উন্নয়ন ট্রেনিং এবং নার্সদের বিএমইটির অধীনে ট্রেনিং দিয়ে বিদেশ পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান বিএমইটির মহাপরিচালক। শহীদুল আলম বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদফতরের অধীনে থাকা এতিমখানার বাচ্চারাও বিদেশ যেতে পারে। যুব উন্নয়নে ট্রেনিং নিচ্ছে, তারাও কিন্তু বিদেশ যেতে পারে। নার্সদেরও আমরা বিদেশ পাঠাতে চাই। এদের সবার যে বিদেশ যাবার সুযোগ রয়েছে তারা কিন্তু জানে না। বিএমইটি তাদের ট্রেনিং এর মাধ্যমে বিদেশ পাঠাতে চায়।’
এসব সেক্টর থেকে বাংলাদেশিদের বিদেশ পাঠাতে জানুয়ারি মাসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিটিং করবেন বলেও জানান বিএমইটির মহাপরিচালক।
এনআই/জেডএস