লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বন্ধে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) গুলশানের স্পেক্ট্রো কনভেনশন সেন্টারে আস্থা- স্ট্রেন্দেনিং অ্যাকসেস টু মাল্টি-সেক্টোরাল পাবলিক সার্ভিসেস ফর সারভাইভারস প্রকল্পের অগ্রগতি ও অর্জন সম্পর্কে জানাতে এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে আলোচনায় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। 

সভায় বক্তারা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার মামলাগুলো সমাধানে এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা হ্রাস করার জন্য উপযুক্ত যোগাযোগ মাধ্যম, পদ্ধতি এবং কৌশল ব্যবহারে সেবা প্রদানকারী ও স্থানীয় সিএসও, পুরুষ এবং কিশোরদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বহু অংশীজনদের অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

বক্তারা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার উদ্বেগ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মাঠ পর্যায়ের মানুষও তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আস্থা প্রকল্পের বিস্তারিত নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।

আয়োজকরা জানান, আস্থা প্রকল্পটি লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বহুবিধ ক্ষেত্রে জনসেবার সুবিধা প্রাপ্তির নিশ্চিতে এবং বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ, পারিবারিক সহিংসতা ও যৌতুক-সংশ্লিষ্ট সহিংসতার মতো উদ্বেগপূর্ণ বিষয়ের সাথে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) বিরুদ্ধে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। জামালপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া ও কক্সবাজার এ চার জেলার ১২টি উপজেলায় ১০২টি ইউনিয়নে আস্থা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কমিউনিটি আউটরিচ ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ প্রকল্পের অধীনে, সর্বমোট ২০ হাজার ৩৯৪টি উঠান বৈঠক, নারীদের সহায়তা পরিচালিত ১৮৩৬টি সভা, ৫০৪টি দম্পতি সভা, ১১টি থিয়েটার শো, ৩০৯টি ভিডিও এবং ৫০টি সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের দেশীয় প্রতিনিধি এইকো নারিতা, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এ্যান লিউওয়ে, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের জিবিভি ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর রুমানা খান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল প্রমুখ।

এএসএস/এইচকে