দুদকের নাম ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বরখাস্তকৃত উপপরিচালক মো. আহসান আলীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশনের সুপারিশে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংস্থাটির বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এ অনুসন্ধান করা হবে বলে ঊর্ধ্বতন সূত্রে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহসান আলী সরকারি চাকরি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন জালিয়াতির সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন। তিনি সম্প্রতি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এয়ারপোর্টে বিবাদে লিপ্ত হয়ে দুদকের পরিচয় ব্যবহার করেছেন। বিভিন্ন সময়ে কমিশনের নাম বলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অশোভন আচরণ প্রদর্শন করে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।

অভিযোগ পর্যালোচনা করে আরও দেখা যায়, আহসান আলী দুদকের উপপরিচালক হিসেবে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং হয়রানি করে অর্থ আদায় করেছেন। তিনি এখনো নিজেকে দুদকের উপপরিচালক হিসেবে দাবি করে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতারণা করছেন। 

জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দর কমিশনারকে অবৈধভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনা মালামাল ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখানোর কারণে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আহসান আলীর বিরুদ্ধে বেনাপোল থানায় মামলা দায়ের করেন।

আহসান আলীর অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকার খিলগাঁওয়ে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৬ তলা বাড়ি, খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-১ এ ৩ তলা বাড়ি এবং উত্তরা ৬নং সেক্টরে একটি ৬ তলা বাড়ি। এছাড়া রাজশাহী জেলার চারঘাট থানায় একটি বাড়ি ও ৫০/৬০ বিঘা জমি, যার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া শ্বশুর, শ্যালক, ভাই, স্ত্রী ও সন্তানদের নামে বহু সম্পদ করার অভিযোগ রয়েছে।

২০১৪ সালের ১১ মে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে আহসান আলীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।

আরএম/ওএফ/জেএস