ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন ৫০০ জনকে করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিকা কেন্দ্রের ফোকাল পার্সন ডা. ওয়াহিদুর রহমান। গেল বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ঢামেক হাসপাতালে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে ঘুরে ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকেই মোবাইল ফোনে মেসেজ পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে টিকা নিতে এসেছেন। 

টিকাটুলি থেকে বুস্টার ডোজ নিতে আসা আবু হাসিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা নিয়েছিলাম। আজ মেসেজ পেয়ে বুস্টার ডোজ নিয়েছি। 

ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে বুস্টার নেওয়া মেসেজ এসেছিল। তাই আজ টিকা নিয়েছি।

মালিবাগ থেকে আসা ফজিলাতুন্নেছা বলেন, এর আগে করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলাম। আজ বুস্টার ডোজ নিয়েছি। আগের ডোজে কোনো সমস্যা হয়নি।

বুস্টার ডোজের একাধিক তারিখের মেসেজ পেয়েছেন অনেকে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ওয়াহিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমারা ১ জানুয়ারি থেকে এই সমস্যার কথা শুনেছি। অনেকে ২/৩টি তারিখের মেসেজ পেয়েছেন। সেগুলো আমরা আইটি সেকশনকে জানিয়েছি। তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিদিন ৫০০ জনকে বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে যাদের দ্বিতীয় ডোজের মেয়াদ ছয় মাস হয়েছে তাদেরও দেওয়া শুরু হয়েছে।

দেশে এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না অথবা অ্যাস্ট্রাজেনেকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল কমিটি-নাইট্যাগ।

যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে তারা বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

২৮ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হলেও গেল বছরের ১৯ ডিসেম্বর ১৭ জন প্রবীণ নাগরিককে দিয়ে শুরু হয় বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বুস্টার ডোজ নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা।

এসএএ/ওএফ