মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের গ্রেফতার করা হলেও দুদিন পর জামিন পেয়ে বের হয়ে যায় তারা। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। 

বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবকদের বিষয়ে আইন সহজ থাকে। সহজে তারা জামিন পেয়ে যায়। সে জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যাদেরকে ধরা হয় দেখা যায়, দুদিন পরেই তারা সব জামিন পেয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের আইনে কিছু দুর্বলতা আছে। ভবিষ্যতে সে দুর্বলতাগুলোর সুযোগ নিয়ে আইনে জামিনের যে অধিকার, সেটার যাতে অপপ্রয়োগ না হয় এবং আইনের যে ত্রুটি আছে, সেগুলো দূর করার জন্য আইন কীভাবে সংশোধন করা যায়, সে ব্যাপারেও আমরা কথা বলেছি, সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, দুইটা জিনিসে আমরা অনেক সময় কনফিউজড হয়ে যাই। একটা হল অ্যালকোহল বা মদজাতীয় জিনিস। আরেকটা হল ড্রাগ। যেটা মানুষের জীবনী শক্তি শেষ করে দেয়। এ দুইটাকে আলাদা করে ড্রাগের জন্য যে কঠোর আইন আছে, সেগুলো যাতে আমলে আসে (আলোচনা হয়েছে), কারণ অ্যালকোহল আর ড্রাগ এক জিনিস নয়। 

এছাড়া সচেতনতার জন্য ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

কমিটির সভাপতি বলেন, যারা মাদক থেকে ফিরে আসে এমন মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের জন্য ভবিষ্যতে একটা বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে পরামর্শ দিয়েছি।

এছাড়া ধরা পড়া বা আটক হওয়া মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার রেকর্ড স্বচ্ছভাবে সংরক্ষণ করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

এসএইচআর/এসকেডি