পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম

বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এখনো বাংলাদেশি কর্মীরা অনেক কম বেতন পান উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তাদের দক্ষতা বাড়াতে আরও কাজ করা প্রয়োজন।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অভিবাসী কর্মীরা যেন নিরাপদে থাকতে পারেন, সেজন্য আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। করোনা মহামারির কারণে আমাদের কর্মীদের যেন দেশে ফেরত না আসতে হয়, সে লক্ষ্যে আমাদের মিশনগুলো কাজ করছে। আমাদের কর্মীদের বেতন অনেক কম। তাদের দক্ষতা বাড়াতে আরও মনোযোগ দিতে হবে আমাদের।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত। তাদের অবদান অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। দেশের পাশাপাশি তারা কর্মরত দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের কর্মীরা অসামান্য অবদান রাখছেন। অনেকটা বলাই যায়, মধ্যপ্রাচ্য তৈরিতে আমাদের অবদান বেশি। দেশগুলো ভ্রমণ করলে এ চিত্র দেখতে পাই।

নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ অভিবাসন খুব জরুরি। আমাদের নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসনের প্রয়োজন আছে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে খরচ একটি বড় বাধা। বৈশ্বিক অভিবাসন দ্বিগুণ হতো, যদি সবার জন্য নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা যেত। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের আরও অভিবাসন বাড়াতে হবে।

করোনা মহামারির কারণে অভিবাসীদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, করোনা মহামারির কারণে অভিবাসীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। লকডাউন, বিধিনিষেধ অভিবাসীদের আয়-রোজগারে প্রভাব ফেলেছে। এতে অনেকে বেকার হয়েছে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী জানান, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে কাজ করছে বাংলাদেশ।

রামরু আয়োজিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনীম সিদ্দিকী ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক।

এনআই/আরএইচ