পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্প্রীতি, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের বিষয়টি বেশ জটিল। তবে এতটুকু বলতে পারি, এ অঞ্চলের উন্নয়ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। শান্তি চুক্তি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী যে ভূমিকা রেখে চলেছেন, তাতে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার। আমাদেরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে বেশি বেশি প্রকল্প হাতে নিতে। আমরাও বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছি। যখনই যে প্রকল্প আমাদের কাছে আসছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে পাস করিয়ে দিচ্ছি।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল আমারিতে ভোরের কাগজ ও আইসিএলডিএস’এর যৌথ উদ্যোগে ‘সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন: একুশ শতকে পার্বত্য চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, মাথাপিছু হিসাবে দেশের অন্য জায়গা থেকে অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এ উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।

পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের বোঝা নয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, শান্তি ও সমৃদ্ধি পেতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সফরে গিয়েছিলেন এবং পিছিয়ে পড়া জনগণকে এগিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন। সরকার এই অঞ্চলকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল মনে করে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে শান্তি চুক্তি করা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরোমা দত্ত, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, আইসিএলডিএস’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির, আইসিএলডিএস’র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আবদুর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এম আসহাব উদ্দীন এনডিসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাডভোকেট ইকবাল করিম প্রমুখ। 

আরএআর