কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক / ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। আশা করি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। সারাদেশই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য, আমরা মনে করি নির্বাচনটা সুন্দর ও সুষ্ঠু হওয়া উচিত। কোনো অবস্থাতেই এ নির্বাচনে যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে, সমালোচনার সুযোগ যেন না থাকে, সেটিই আমরা আশা করছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনে যে ফল আসবে সেটা যদি আমাদের বিরুদ্ধেও যায়, তা আমরা গ্রহণ করব। একটা সিটি নির্বাচনে হেরে গেলে কিছু যায়-আসে না। কিন্তু জনগণের বিজয় হবে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার (Earl R. Miller) বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকারের বিষয় নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। দুই দেশের কৃষি, অর্থনীতি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যু এবং সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে মেগান ফ্রান্সিসও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, বাংলাদেশকে সতর্ক করার জন্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেছি। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, সতর্ক হওয়ার জন্য দিয়েছে।’

‘তারা উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করেছে। আমি বলেছি, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবাধিকারের বিষয়টির ওপর খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তারা প্রশংসা করেছে। তাদের ধারণা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। এটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে, এটা হবে।’

তিনি বলেন, আমি তাদের বলেছি, আমাদের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করেছে। কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হয়তো ভুল হয়েছে, সেজন্য ১৯০ র‌্যাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে দ্রুত এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

এমএইচএন/এমএআর/