টিকায় বাড়ছে আগ্রহ, সাত দিনে নিবন্ধন ৭৪ হাজার
করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম নিয়ে শুরুতে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা, ভয়-আশঙ্কা ও গুজব ছড়ালেও পর্যায়ক্রমে বাড়ছে টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা। শুরুর চার দিনে মাত্র ১৭ হাজার মানুষ নিবন্ধন করলেও সবমিলিয়ে গত সাত দিনে ৭৪ হাজার মানুষ টিকা নিতে নিবন্ধিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টিকা কর্মসূচির সর্বশেষ প্রস্তুতিমূলক সভা ও বিভিন্ন হাসপাতালে পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৫ ফেব্রুয়ারির (শুক্রবার) পরও নিবন্ধন কাজ চলমান থাকবে। তিনি বলেন, সারাদেশের গ্রামেগঞ্জে টিকা নিবন্ধনের জন্য মাইকিং, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণসহ গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও জোরালো প্রচারণা হচ্ছে।
ডা. খুরশিদ আলম আরও বলেন, প্রথম ফেইজে লার্জ সাইজ পপুলেশনকে দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ ভ্যাকসিন পাবেন না বলেও তিনি জানান।
বিজ্ঞাপন
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেন ৩০ হাজার ৩০০ জন। শুরুর দিকে সমালোচনাকারীদের বিভিন্ন গুজব ও অপপ্রচারে টিকা নিতে কিছুটা অনাগ্রহ তৈরি হলেও সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-আমলারা টিকা নেওয়া শুরু করলে নিবন্ধনে কিছুটা গতির সঞ্চার হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মেডিকেল বায়োটেকনোলজি) ডা. মো. মারুফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘নিবন্ধন প্রক্রিয়া ভালোভাবেই এগোচ্ছে। আগে যে সমস্যাগুলোর বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য এসেছিল, আমরা সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আমরা এগুলো নিয়ে ফিডব্যাক দিচ্ছি।’
নিবন্ধন বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২৭ জানুয়ারি থেকে রোববার পর্যন্ত মাত্র ২০ হাজারের মতো নিবন্ধন হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নিবন্ধন ১০ হাজার বেড়েছে। এর আগে নিবন্ধন নিয়ে একটা কনফিউশন ছিল যে, আমাদের কাছে যারা এনআইডি কার্ড পাঠিয়েছিল, তারা ভেবে নিয়েছিল যে, এনআইডি কার্ড দিলেই অটোমেটিক নিবন্ধন হয়ে যাবে। আজ আমরা সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলেছি। আশা করছি নিবন্ধনের সংখ্যাটা এখন দ্রুত বাড়বে।’
টিআই/জেডএস