মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা অসত্য তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। এ বিধান রেখে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 
 
তিনি বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থাকবেন। আর এ মন্ত্রণালয়ের সচিব ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন। 

কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা নয়জনের পরিবর্তে ১১ জন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কাউন্সিলের মহাপরিচালক যিনি থাকবেন, তিনি সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একাত্তর সালের (১৯৭১) ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছেন বা খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ দিয়ে মানুষ হত্য বা তাদেরকে অত্যাচার করেছেন, পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করেছেন তাদের তালিকা তৈরি করে গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।

এসএইচআর/আইএসএইচ