ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সবাই মিলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবার সবাই আমরা খাই। কম-বেশি খাওয়া পড়ে। এর কারণে নিরাপদ খাদ্য কিভাবে নিশ্চিত করব, এটা আমাদের দায়িত্ব। তাই হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও স্ট্রিট ভেন্ডরদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগকে।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) গুলশান নগর ভবনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা কেবল লাইট বা রাস্তা দিয়ে নির্মাণ সম্ভব নয়। নিরাপদ খাদ্যেরও প্রয়োজন। খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আগামী দুই মাস জনসচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক বাংলাদেশি বিদেশের মাটিতে সফলভাবে হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করছেন। বিদেশে সম্ভব হলে আমরাও এখানে সম্ভব করতে পারব। হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকদের ব্যবসার সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে। খাদ্যের ব্যবসা করে নিজে একদিনও খাবার খাবেন না তা হতে পারে না। তাদের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে হবে।

বিজিএমইএয়ের উদাহরণ টেনে মেয়র বলেন, অবহেলিত গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেমন নিজেদের সুশৃঙ্খলতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে, তেমনি হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা সচেতন হলে এই সেক্টরটিও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করবে। তাই পচা খাবার বিক্রির সংস্কৃতি থেকে বেড় হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমানসহ ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/আইএসএইচ