ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরবাসীর সেবা সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে দায়িত্বে এসেছি। জনসাধারণ কষ্ট করবে, অন্যরা বাড়ি বানাবে রাস্তায় মালামাল রেখে তা হতে দেওয়া যায় না। শহরের বারটা বাজিয়ে কাউকে ব্যক্তিগত ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মহানগর আবাসিক এলাকা,পশ্চিম রামপুরা এলাকায় বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, কেউ ড্রেন বন্ধ করে দোকান বসিয়েছে, সরকারি টাকায় করা চমৎকার রাস্তা-ফুটপাত দখল করে কেউ বাড়ি নির্মাণ করছে, নির্মাণ সামগ্রী রেখেছে। এগুলো অন্যায়, এগুলো মেনে নেওয়া যায় না।

এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের কাছে এই অন্যায়গুলোর সামাজিক প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের নিজেদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সকলে মিলে সচেতন হলে কেউ ফুটপাত রাস্তা বন্ধ করতে পারবে না। কেউ ড্রেনের লাইন বন্ধ করতে পারবে না। শুধু জরিমানা করে ক্ষান্ত হলে চলবে না, নিয়মিত মামলা করে এদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আগামী রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি এলাকায় মাস্ক বিতরণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে ৫ লাখ মাস্ক বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে গিয়েছে। মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার। সবাইকে সর্বাবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

অব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে গিয়ে রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচল ব্যহত ও ফুটপাতের টাইলস ভাঙ্গার দায়ে দুইটি বাড়িটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া অব্যবস্থাপনার দায়ে কয়েকটি দোকানমালিকের ট্রেড লাইসেন্স পরীক্ষা করে জরিমানারও নির্দেশ দেন তাৎক্ষণিক। পাশাপাশি অনুমোদন না থাকায় কয়েকটি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর এস এম শরিফুল-উল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/আইএসএইচ