দেশের মেধাবী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে সেতুবন্ধনের সুযোগ করে দিতে এসএমই ই-ডাটাবেজ প্রণয়নের পাইলট কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন এবং এটুআইয়ের যৌথ আয়োজনে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পর্যটন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এসএমই ই-ডাটাবেজ প্রণয়নের পাইলট কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি প্রধান কাজ হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা। প্রধানমন্ত্রী যেমনটা বলেন, আমরা চাকরি দেব না, চাকরি দিতে পারে এমন উদ্যোক্তা তৈরি করব। সে লক্ষ্যে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। 

তিনি বলেন, এসএমই ই-ডাটাবেজ তৈরির মধ্য দিয়ে যে যাত্রা শুরু হলো তা শুধু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতই নয় সেই সাথে ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্যোক্তাদেরও বিশাল কাজে আসবে। সরকারের যেকোনো ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ, সুবিধা বা প্রণোদনা প্রদানের ক্ষেত্রে এই ডাটাবেজের থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত অর্থনীতির উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ার জন্য দেশে উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরিতে যে ধরনের সহযোগিতা দরকার সেগুলো যথাযথভাবে প্রদানে দেশের মেধাবী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে সিএসএমই ই-ডাটাবেজ কাজ করবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণ হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বা এসএমই খাত। দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ই-ডাটাবেজ তৈরি অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ।

এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, দারিদ্রমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এসএমই খাতকে প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এতদিন এসএমই খাতের কোনো ডাটাবেজ না থাকার কারণে এ খাতে সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এটুআইয়ের স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইনোভেশন স্পেশালিস্ট আসাদ-উজ-জামানসহ শিল্প মন্ত্রণালয়, এসএমই ফাউন্ডেশন, এটুআইয়ের কর্মকর্তারা।

এএসএস/ওএফ