তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসায় প্রকৃতি-ভিত্তিক আলোচনার পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেনভারতীয় পানিবিশেষজ্ঞ জয়ন্ত বসু।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ভার্চুয়াল ৭ম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন ২০২২-এর দ্বিতীয় দিনে (শুক্রবার) ‘তিস্তা নদীর ভূরাজনীতি এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক আলোচনা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী থাকলেও উভয় দেশের মধ্যে সামগ্রিক অববাহিকা ভিত্তিক কোনো উদ্যোগ নেই। সামগ্রিক অববাহিকা-ভিত্তিক পন্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

পরিবেশ ডকুমেন্টেশন বিশেষজ্ঞ এবং এনভায়রনমেন্ট গভর্নড ইন্টিগ্রেটেড অর্গানাইজেশনের পরিচালক জয়ন্ত বসু বলেন, তিস্তার মতো নদীর পানি সমস্যা নিরসনে সমন্বিত নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনায় প্রকৃতি ভিত্তিক আলোচনামূলক পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃসীমান্ত নদী সমস্যাগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি যুক্ত। কেননা এ অঞ্চলের সব দেশই প্রধানত কৃষি, জলবিদ্যুৎ এবং অন্যান্য কারণে নদীর ওপর নির্ভরশীল।

ভারতীয় পানি বিশেষজ্ঞ ড. জয়ন্ত বলেন, এ অঞ্চলে রাজনৈতিক ক্ষমতার অসম অবস্থান; আন্তর্জাতিক, জাতীয় এবং স্থানীয় রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব; নদী ও জলবায়ু পরিবর্তন আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়ন্ত বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পানি বন্টনের ক্ষেত্রে উজান ও ভাটির দেশের দৃষ্টান্ত ধোপে টেকে না। তিনি আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ব্যবহারে একটি সমন্বিত মডেলে পৌঁছতে আন্তঃদেশীয় অংশীদার পর্যায়ে সামগ্রিক আলোচনার প্রস্তাব করেন।

এসএম