বাংলাদেশ পুলিশে বেছে বেছে বেস্ট অব দ্য বেস্ট (সেরাদের সেরা) অফিসারদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যারা সৎ, দেশপ্রেমিক ও সাহসী, পাশাপাশি সেবার মনোভাব যাদের মধ্যে থাকবে তারাই পুলিশে আসবে— বলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ-২০২২ এর দ্বিতীয় দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগের নিয়ম প্রায় ৪০ বছর পর পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কনস্টেবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এসআই নিয়োগ চলছে। নিয়োগ পদ্ধতি অত্যাধুনিক করা হয়েছে। অত্যাধুনিক এই নিয়োগ পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা জব মার্কেট থেকে সেরাদের মধ্যে সেরাদের নিয়োগ দিতে সক্ষম হব। 

তিনি বলেন, যারা পুলিশে আসবে তাদের মনে রাখতে হবে এটা পেশা নয় সেবা। আমরা পুলিশ বাহিনীর জন্য সৎ, দেশপ্রেমিক ও সাহসী লোক খুঁজছি। যাদের মধ্যে এই ৩টি গুণ ও সেবার মনোভাব থাকবে তারাই পুলিশে আসবে।

পুলিশ সদস্যদের অপকর্মে জড়ানোর বিষয়ে আইজিপি বলেন, ২০৪১ সালে আমরা ধনী রাষ্ট্র হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। সেই রাষ্ট্রের জন্য পুলিশকেও প্রস্তুত হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা ইতিমধ্যে স্ট্রাটেজিক প্ল্যান করছি। আমরা চাই না পুলিশের কোনো সদস্য অপকর্মে লিপ্ত হোক। পুলিশের কোনো পর্যায়ের কোনো সদস্য যদি অপকর্মে লিপ্ত হয়, পুলিশ বাহিনীর জন্য অসম্মান বয়ে আনে, শরীরের কোনো অংশে পচন ধরলে যেমন কেটে ফেলা হয়, একইভাবে আমরা তাদেরকে পরিত্যাগ করব।

আইজিপি বলেন, আমরা কোনো অপকর্ম-অন্যায়ের মাধ্যমে সংবাদ হতে চাই না। আমাদের ভালো কাজের মাধ্যমে সংবাদের বিষয়বস্তু হতে হবে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালে যারা সমাজের ভূমিকা রাখবে সেই প্রজন্ম যেন মাদকে আসক্ত হয়ে না থাকে সে ব্যাপারে তরুণসমাজকে আরও সচেতন থাকতে হবে। আমরা সবাই মিলে এই কমিউনিটি মুভমেন্টের মাধ্যমে মাদককে দেশ থেকে বিতাড়িত করব। নতুন প্রজন্ম যেন মাদকের ফাঁদে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অস্ত্র নির্মূল করতে হবে। এই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। 

বাংলাদেশে মাদক উৎপাদন না হলেও প্রতিনিয়ত দেশে মাদক ঢুকছে, যা বৈশ্বিক ষড়যন্ত্রের অংশ। মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে পুলিশ। জঙ্গিবাদ নিরসনে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি মডেলে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আইজিপি।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্য করে আইজিপি বলেন, এটা শুধু নামমাত্র উপহার নয়, এটা শোকেসে রেখে দেওয়ার পুরস্কার নয়। এটা অহংকার করার মতো একটি বিষয়। শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও উত্তম কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার।

এর আগে আইজিপি ২০২০ ও ২০২১ সালে বিভিন্ন অভিযানে মাদক, অবৈধ অস্ত্র মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও চোরাচালানের মাল উদ্ধারে শ্রেষ্ঠদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।

এআর/জেডএস