কারাগারে হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদকে নারীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাহার করা হয়েছিল কাশিমপুর-১ এর জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধাকে। সেই মৃধার প্রত্যাহার আদেশ তুলে নিয়েছে কারা অধিদপ্তর। নতুন করে জেলারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। তবে এবার তিনি কশিমপুরে নয়, মাগুরা জেলা কারাগারের দায়িত্ব পেয়েছেন।

সম্প্রতি কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক তাকে ঢাকার কারা অধিদপ্তর থেকে মাগুরায় পাঠান।

কয়েদির নারীসঙ্গের ঘটনায় কারা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদনে নূর মোহাম্মদকে নিয়ে কী বলা হয়েছে তা জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি প্রিজনস আবরার হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সঙ্গে একজন ডেপুটি জেলারসহ ৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা জানায়। সে অনুযায়ী ওই মাসেই (ফেব্রুয়ারি, ২০২১) তাদের প্রত্যাহার করে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রত্যাহার হওয়া ওই তিনজন হলেন ডেপুটি জেল সুপার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী এবং সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমান।

একই ঘটনায় নূর মোহাম্মদকেও প্রত্যাহার করে ঢাকায় কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

সেই প্রত্যাহার আদেশ বাতিল করে গত ২৫ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে মাগুরা জেলা কারাগারের জেলার হিসেবে পদায়ন করা হয়।

এদিকে একই প্রজ্ঞাপনে মাগুরা জেলা কারাগারের কর্মকর্তা, বর্তমানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ সংযুক্ত, রীতেশ চাকমাকে স্থায়ীভাবে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ জেলার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদের শ্যালক তুষার আহমদ (জিএম) একজন নারীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটান। এতে সহযোগিতা করার অভিযোগ ওঠে ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত বছরের ২২ জানুয়ারি ঘটনাটি প্রকাশ পায়। পরে ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর দুদফায় সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়সহ পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হয়।

এআর/এসকেডি/জেএস