চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ২৭২ জন (১৬৬ নারী ও ১০৬ কন্যাশিশু) নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে পরিষদটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, গত জানুয়ারি মাসে ২৭২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭০ জন, যারমধ্যে ৩৯ জন কন্যাশিশুই ধর্ষণের শিকার, ৬ জন কন্যাশিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা ও দুই কন্যাশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করে।

এছাড়াও ৫ জন কন্যাশিশুসহ ১০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এক কন্যাশিশুসহ তিনজন শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। তিন কন্যাশিশুসহ ৫ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।

এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে দুজন। ১২ কন্যাশিশুসহ ১৬ জন উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে। ছয় কন্যাশিশুসহ ১০ জন অপহরণের শিকার হয়েছে। 

যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮ জন, যার মধ্যে এক কন্যাশিশুসহ ১২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে চার কন্যাশিশুসহ মোট ১৩ জন।

বিভিন্ন কারণে ৫ জন কন্যাশিশুসহ ৪৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৬ কন্যাশিশুসহ ১৮ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৬ কন্যাশিশুসহ ৪৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এক কন্যাশিশুসহ ৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

চার কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ৬ জন। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৪টি। এছাড়াও অন্যান্যরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

জেইউ/আইএসএইচ