‘জনপ্রশাসন পদক’ এর নাম বদল করে চলতি বছর থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য  ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা -২০২২’ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক হবে ১২টি। বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দিতে জেলা বাছাই কমিটি, বিভাগীয় বাছাই কমিটি, মন্ত্রণালয়/বিভাগ পর্যায়ে বাছাই কমিটি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাছাই কমিটি ও জাতীয় কমিটি থাকবে।

বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসনে কর্মরত কর্মচারীদের সৃজনশীল ও গঠনমূলক কার্যক্রম উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিতকরণ ও সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার প্রতি বছর জনপ্রশাসন পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পদক প্রদানের কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ‘জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা ২০১৫ (২০১৬ সালে সংশোধিত)’ বাতিল করে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।

সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন প্রশাসন, সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, মানব উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন, দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা, অপরাধ প্রতিরোধ, জনসেবায় উদ্ভাবন, সংস্কার গবেষণা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি- ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হবে। সরকারি কর্মচারী ব্যক্তিগত, দলগত বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি কর্মচারী/প্রতিষ্ঠানের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত কার্যপরিধির উপর বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক বিবেচনা করা হবে।

পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণপদক (২১ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত অবদানের জন্য ২ লাখ টাকা, দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। দলের প্রত্যেক সদস্যকে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া হবে এবং নগদ পুরস্কারের ৫ লাখ টাকা সদস্যদের মধ্যে সমভাবে বণ্টন করা হবে।

প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে। সরকার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করতে পারবে।

রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে/নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যদি কোনো পদকপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এক বছর বা তার বেশি মেয়াদে চূড়ান্তভাবে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তবে তার পদক প্রত্যাহার করা হতে পারে।

পিএসডি/এসকেডি