মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ কারিগরি শিক্ষকদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও ১৯ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখা’ এর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

মানববন্ধন থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে প্রক্রিয়াধীন বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ জন কর্মরত শিক্ষকের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর দ্রুত সম্পন্ন করা ও ১৯ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন প্রকল্পের আওতাধীন কর্মরত শিক্ষকরা।

‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখা’ এর সভাপতি মো. সুমন হায়দারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আব্দুল মোতালেব, কেনিক আইডিবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলী, কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম রহমান প্রমুখ। 

দাবির বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন, আমি সার্কুলারের মাধ্যমে  ২০১৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেই। আমরা স্টেপ প্রকল্পের মাধ্যমে জয়েন করি। পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালে আমাদের ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দেয়। এরপর থোক বরাদ্দ থেকে এক বছর বেতন পেয়েছি। কিন্তু গত ১৯ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন। 

তিনি আর বলেন, খুবই কষ্টে আছি। বাড়ি ভাড়া দিতে পারছি না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার আলটিমেটাম দিয়ে রেখেছেন। বাচ্চার খাবার নেই, ঘরে চাল নেই, বৃদ্ধ বাবার চিকিৎসা করার মতো টাকা নেই। বোনের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি।

এএজে/ওএফ