চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার নলুয়া ও বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার জেরে কিশোরসহ দুজন নিহতের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন নিহতের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আজ মামলা হতে পারে।

তিনি বলেন, জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। খাগরিয়া থেকে মঙ্গলবার একটি এলজি ও দেশীয় অস্ত্রসহ জসিম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন গণিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় তাকে দেখা গিয়েছিল।

পুলিশ জানায়, নলুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বোর্ড অফিস ভোটকেন্দ্রের পাশে নিহত মো. তাসিব (১৩) ও বাজালিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বোর্ড অফিস কেন্দ্রের পাশে নিহত আবদুস শুক্কুরের (৪০) লাশ মঙ্গলবারই ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের দিন নলুয়া ইউনিয়নের বাড়ির পাশের বোর্ড অফিস কেন্দ্রের পাশে কুপিয়ে খুন করা হয় স্কুল ছাত্র তাসিবকে। আর বাজালিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বোর্ড অফিস কেন্দ্রের দখল নিতে নৌকার প্রার্থী তাপস কান্তি দত্ত ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল্লাহ চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন শুক্কুর। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শুক্কুর চট্টগ্রাম নগরের শুলকবহর এলাকায় বসবাস করতেন।

কেএম/ওএফ