চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের দশটি নমুনার মধ্যে সবকয়টি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর এই দশটির মধ্যে ৪টি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ (BA.2) শনাক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, শনাক্তকরা নমুনাগুলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন বয়সের করোনায় আক্রান্ত রোগী থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও মৃদু জ্বর ছাড়া মারাত্মক কোনো লক্ষণ, যেমন শ্বাসকস্ট, অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হয়নি।

সিভাসু সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় এবং পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি) সিভাসুর আর্থিক সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন বিষয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই গবেষণা কার্যক্রমের একটি অংশ হিসেবে ১০টি নমুনা থেকে নোভেল করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য বা জিনোম সিকোয়েন্সে করা হয়। এর ফলাফলে দেখা যায় যে, দশটি নমুনার মধ্যে সবকয়টি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েট (বি১.১৫২৯) এর উপস্থিতি রয়েছে। এই দশটির মধ্যে ৪টি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ (BA.2) শনাক্ত করা হয়। সিকোয়েন্সকৃত নমুনাসমূহের বিশ্লেষণে উল্লেখযোগ্য মিউটিশনের উপস্থিতি পাওয়া যায় (সর্বোচ্চ ৬৮টি স্থানে)। 

গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১০ রোগীর কাউকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি এবং কোনো রোগী মৃত্যুবরণ করেননি।
 
এই গবেষণা দলে ছিলেন, প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী। 

কেএম/আইএসএইচ