সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, মন্ত্রণালয় ও কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বর্মণ বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সর্বত্র আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু যখনই চূড়ান্ত পর্যায়ে যায় তখনই আমাদের বিভ্রান্ত করতে বলা হয়, দেশের সংবিধানে কোনো সংখ্যালঘু স্বীকৃতি নেই, তাই ওই সব দাবির কোনো গ্রহণযোগ্যতাও নেই। এজন্য আমরা সর্বত্র সংখ্যালঘু স্বীকৃতির দাবি তুলে ধরেছি। দাবি আদায় হলে আগের সব দাবি পাওয়ার সম্ভাবনা আলোর মুখ দেখতে পাবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, যখনই আমরা এই দাবিতে রাজপথে দাঁড়ালাম ঠিক তখনই ‌‘সংখ্যালঘু স্বীকৃতি চাই’ দাবির বিরোধিতা করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বিকৃত বক্তব্য প্রদান করেছেন। অথচ তারাই দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন দাবিতে সংখ্যালঘুদের নিয়ে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু এখন তারাই বলে বেড়াচ্ছেন, আমরা সংখ্যালঘু নই। আবার বলছেন, আমরা জাতিগত সংখ্যালঘু, কিন্তু জন্মগত সংখ্যালঘু নই। তার এমন বহুমুখী ও বহুরূপী বক্তব্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হতাশ। তারা যুগ যুগ ধরে সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করে  দাবি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছে।

রবীন্দ্র নাথ বর্মণ বলেন, তাদের জন্য সম্প্রদায় আজ নেতৃত্বহীন ও বিলুপ্তির পথে। আমরা তার এই সংখ্যালঘু বিরোধী কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ ও তার নিন্দা জানাচ্ছি। তাকে অনতিবিলম্বে জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এই ঐক্য পরিষদ এবং তাদের সহযোগী সংগঠন পূজা উদযাপন পরিষদ সংখ্যালঘু বিরোধী, তারা হিন্দুদের ক্ষতি করছে, তাই এই দুটি সংগঠন নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন সহ-সভাপতি আশোক ধর, যুব বিষয়ক সম্পাদক যুগলচন্দ্র শীল, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট সভাপতি শ্রী লায়ন চন্দন ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ