বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। একই সঙ্গে নির্বাচন ভয়মুক্ত প‌রি‌বেশে অনুষ্ঠিত হবে ব‌লেও প্রত্যাশা ব্যক্ত ক‌রেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়া‌রি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব প্রত্যাশার কথা ব‌লেন ব্রিটিশ হাইক‌মিশনার।

হাইকমিশনার ব‌লেন, ‌বাংলাদেশের বন্ধুরা সবাই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। বাংলা‌দে‌শে স্বচ্ছ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, যুক্তরাজ্য এমনটাই চায়। এমন কী নির্বাচনে যাতে ভয়মুক্ত পরিবেশে হতে পারে, এটাই প্রত্যাশা করে ।

ডিকসন ব‌লেন, বিনিয়োগকারীরাও এখা‌নে স্বচ্ছ গণতন্ত্র ও নির্বাচন হোক এমনটা প্রত্যাশা ক‌রে। কেননা, এমনটা নি‌শ্চিত করা গে‌লে এক‌টি স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থা‌কে। যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় একটি গণতান্ত্রিক সরকার চায়।

যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উপল‌ক্ষে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।

বাংলা‌দে‌শের এলডিসি উত্তরণের আগে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন গুরত্বপূর্ণ ব‌লে উ‌ল্লেখ ক‌রেন ব্রিটিশ হাইক‌মিশনান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিশিষ্ট নাগরিকদের মতামত নেওয়ার অংশ হিসেবে রোববার ২৩ জনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে সার্চ কমিটি। একই উদ্দেশ্যে শনিবার দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ দুই বৈঠকে অংশ নেন ২৫ বিশিষ্ট নাগরিক।

সার্চ কমিটি নিয়ে এক প্রশ্নের জবা‌বে ডিকসন ব‌লেন, 'নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে নিয়মতান্ত্রিকতাই প্রমাণ করে, নির্বাচনের বিষয়ে সবাই আন্তরিক আছে। ভালো দক্ষ কমিশন গঠন হলে খুশি হবে যুক্তরাজ্য।'

এনআই/ওএফ