সনাতন শাস্ত্রীয় আইন পরিবর্তনের ‘ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ নামক একটি সংগঠন। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া হিন্দু নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিও জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।

হিন্দু উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তনের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বক্তারা বলেন, সনাতনী সমাজে বিবাহ চুক্তি নয়, এটা একটি পবিত্র ব্রত। এখানে দেবতাকে সাক্ষী রেখে পবিত্র দেবমন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে বর-কনে একাত্ম হয়ে যান। সে কারণেই স্ত্রীকে বলা হয় সহধর্মিণী বা অর্ধাঙ্গিনী। তারা পরিবারের সম্পদ-সম্পত্তিও যৌথভাবেই ভোগ করে থাকেন। যুগ যুগ ধরে পবিত্র শাস্ত্রীর বিধানের ঐশীবন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের তথা সনাতনী সমাজের পরিবারগুলো শান্তিময়-ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় চলমান। কতিপয় এনজিওসহ একটি বিশেষ মহলের কারসাজিতে তা বিনষ্ট করার এবং বাংলাদেশকে অচিরেই হিন্দু শূন্য করার ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে।

হিন্দু আইন পরিবর্তন না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

তারা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সনাতনী সমাজ হিন্দু আইন পরিবর্তন চায় না। আইন কমিশনের সুপারিশ করা আইন অনুযায়ী শাস্ত্রীয় আইন পরিবর্তন হলে সনাতনী ভাই-বোন ও পরিবারের মধ্যে কলহসৃষ্টির নীল নকশা হবে মাত্র। তাই হিন্দু আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সনাতন পরিপন্থী কালো আইন পাস না করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি সনাতনী সমাজের ক্ষতি হয় এমন কোনো কালো আইন পাস না করার জন্য বিচারকদের ও সরকারের সুদৃষ্টি চাই।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সুকৌশলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্য কলহ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুদ্র ও বিব্রত করার মানসে কতিপয় গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে বলে মনে করেন বক্তারা।

বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সভাপতি দিপংকর শিকদার দিপুর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন— সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত, প্রিতীভূষণ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক সাজন মিশ্র, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়, অ্যাডভোকেট বাসুদেব গুহ, সঞ্জয় ঘোষ লিটু প্রমুখ।

এএসএস/এসএসএইচ