ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মিরপুর ১০ নম্বরে মেট্রোরেল স্টেশনের পাশে ল্যান্ডিংয়ে সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ের জায়গায় ৪/৫ তলা আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং করা হবে। এছাড়া উপরে সাধারণ মানুষের জন্য থাকবে ওপেন স্পেস।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর ১০ নম্বরে এমআরটি ৬ স্টেশন পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, মেট্রোরেল মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন এমআরটি ৫ এবং ৬ ইন্ট্রিগ্রেট করে মেট্রো ৬ এ মিরপুর থেকে মতিঝিল এবং মেট্রো ৫ এ গাবতলী থেকে গুলশানের দিকে যাওয়া যাবে। এ স্টেশনে আগের যেমন পরিকল্পনা ছিল— এটি কীভাবে ইন্ট্রিগ্রেট করা যায়, সেজন্য আমরা সবাই মিলে এখানে এসেছি। আমাদের এখানে সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৪ কার্যালয় আছে। এখানে থাকবে সিঁড়ি, লিফট, এক্সেলেটর। আমরা বলেছি ফুটপাতে ল্যান্ডিং থাকলে মানুষের সমস্যা হবে, ফুটপাত সংকুচিত হয়ে যাবে। তাই ল্যান্ডিং ফুটপাতে দেওয়া যাবে না।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, উত্তর সিটির আঞ্চলিক এ কার্যালয়ের জায়গা সরকারের সিস্টেম অনুযায়ী অধিগ্রহণ করে আমরা চাচ্ছি এখানে ৪/৫ তলা বিশিষ্ট আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং করতে। আর এর উপরে থাকবে পাবলিক ওপেন স্পেস। বিদেশে আমরা দেখেছি যেকেউ তাদের গাড়ি পার্কিং করে ট্রেনে পাতাল রেল, মেট্রোরেলে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যাতায়াত করছে। এমনই এক টিওডি করার জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি। এতে করে যেকেউ তার মোটরসাইকেল বা গাড়ি এখানে পার্কিং করে মেট্রোরেলে বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবে। আমরা যদি লাইন পরিবর্তন করে অন্যদিকে যেতে চাই তাহলেও এ স্টেশনে এসে পরিবর্তন করতে পারব। এটি একটি জংশন হিসেবে কাজ করবে। যারা মেট্রো ৫ বা ৬ এ যাবে তাদের জন্য এটি একটি মিলনমেলার স্থলে পরিণত হবে। এটাকে বলা হয় টিওডি অর্থাৎ ট্রানজিট ওরিয়েন্টটেড ডেভেলপমেন্ট।

তিনি আরও বলেন, এই টিওডি যখন হবে, তখন সবাই তাদের গন্তব্যে যেতে পারবেন এ স্থান থেকে। বিদেশে আমরা দেখেছি কোনো যাত্রী কোথাও যাওয়ার সময় বা আত্মীয়র বাসায় যাওয়ার সময় স্টেশনের পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে কোনো গিফট বা জিনিস কিনে সেই স্থান থেকে কাঙ্ক্ষিত স্থানে চলে যাচ্ছে। আবার অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময়ও এখানে নেমে পার্কিং থেকে তার গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে। এসব কিছুর জন্যই ট্রানজিট ওরিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাত্রী সাধারণের জন্য।

মিরপুর ১০ নম্বরে এমআরটি ৬ স্টেশন পরিদর্শনকালে এমআরটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এসএসএইচ