মামলাজট নিরসন অসম্ভব না হলেও দুরূহ
সারাদেশের আদালতে জমে থাকা মামলাজট নিরসন অসম্ভব না হলেও দুরূহ বলে মনে করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে আইন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার সময় মামলাজট প্রসঙ্গ ওঠে।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে আইন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বৈঠকে মামলাজট নিরসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইন কমিশনের চেয়ারম্যান তার মতামত দিয়েছেন। আমাদের সদস্যরাও তাদের কথা বলেছেন। আমরা আবারও একটি বৈঠক করব। তখন সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সার্বিক আলোচনার পর আমার মনে হয়েছে মামলাজট কমানো অসম্ভব নয়, তবে দুরূহ। এখানে বিচারক নিয়োগের বিষয় আছে। তাদের প্রশিক্ষণের, মনিটরিংয়ের ব্যাপার আছে। চাইলেই বিচারক বাড়ানো যায় না। সাক্ষ্য আইন সংশোধনেরও প্রয়োজন আছে।
তিনি জানান, বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশে জনগণের জন্য বিচারক আছেন কম-বেশি ১৮০০ জন। যেখানে যুক্তরাজ্যে প্রতি সাত হাজার জনগণের জন্য একজন বিচারক আছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রে ৩২ কোটি জনগণের জন্য বিচারক আছেন ৮৬ হাজার।
বিচারক নিয়োগের শর্ত হিসেবে বার কাউন্সিলের সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করার পক্ষেও মত এসেছে বলে জানান শহীদুজ্জামান সরকার।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার থেকে তিন বছরে ৭ কোটি ৮৫ হাজার টাকা ৪৫৮ টাকা কোষাগারে জমা পড়েছে।
কমিটির পরের বৈঠকে ‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন’ নিয়ে আলোচনা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মো. শামসুল হক টুকু, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, রুমিন ফারহানা, সেলিম আলতাফ জর্জ, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন।
এইউএ/এসকেডি