ছবি : সংগৃহীত

পাপ পাপই, অপরাধ অপরাধই। তা আপনি যেভাবেই করেন না কেন কিংবা যে ধরনে ফেলেন না কেন। কথাগুলো বললাম, সাম্প্রতিক একটি স্লোগান নিয়ে উত্তপ্ত হওয়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে।

’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার—বিএনপি এই স্লোগান প্রকাশ্যে দিচ্ছে। এটা নতুন স্লোগান নয়, এটা তাদের মিছিল সমাবেশে নিয়মিত স্লোগান।

সাংবাদিকতা করেছি অনেকদিন, তাই বিষয়গুলো জানি। এবার ছাত্রলীগ তাদের এই স্লোগানকে প্রশ্ন ও প্রতিবাদের সম্মুখীন করেছে।

আমাদের কাছে পঁচাত্তর বিয়োগান্তক একটি বছর। জাতির পিতা হারাবার বছর। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট এই জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।

’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার—এরশাদ আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনি ফ্রিডম পার্টির সৃষ্ট এই স্লোগান এখন আর তারা দেয় না। এখন বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে এই স্লোগান দেয়।

বিএনপি এই স্লোগানের যে ব্যাখ্যাই দিক না কেন আমরা এই স্লোগানে বিক্ষুব্ধ হবোই, উত্তপ্ত হবোই। প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করবোই। আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর স্লোগান কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। ফাঁসির দণ্ড হওয়ার মতো অপরাধ এটি।

বিএনপির কিছু নেতা এখন এই স্লোগানের ভিন্নরকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। বলছেন, ১৫ আগস্টকে নয়, তারা বুঝিয়েছেন ’৭৫-এর ৭ নভেম্বরকে।

এখন আসেন, ৭ নভেম্বর আসলে কী? কী হয়েছিল সেদিন? ঐদিন ক্যান্টনমেন্টে মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদেরকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হয়েছিল। যদি এটা সত্য হয় তাহলে বিএনপি এখন প্রগতিমনা সেনা অফিসারদেরকে হত্যা করার স্লোগান দিচ্ছেন। এই অপরাধের শাস্তি ফাঁসির দণ্ডই হবে।

’৭৫-এর ৭ নভেম্বর আরেকটি বিএনপি-জামায়াত ভার্সন আছে। বিএনপি জামায়াতের কাছে ৭ নভেম্বর হচ্ছে বিপ্লব ও সংহতি দিবস, মানে সেনা অভ্যুত্থান দিবস।

যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে আরেকটা সেনা অভ্যুত্থানের জন্য স্লোগান দিচ্ছে। এটাও তো রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো অপরাধ। হয়তো কাল অস্বীকার করে বলবে, তারা এরকম কোনো স্লোগানই কখনো শুনেও নাই, দেয়ও নাই।

 আশরাফুল আলম খোকন ।। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব