বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ৯ মাস ধরে ভারতের প্রখ্যাত-পরিচিত বহুসংখ্যক মিডিয়া একযোগে বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত রয়েছে। কেউ ভুয়া খবর ছাপিয়ে আর কেউ নানা ধরনের কলাম লিখে বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত। এসব মিডিয়ার প্রচারণার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কৌশল মোটা দাগে একই ধরনের। যেমন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করা, বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদের উত্থান দেখানো, অন্তর্বর্তীকালীন  সরকারের প্রধান প্রফেসর ইউনূসকে মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দানকারী কিংবা মৌলবাদীদের নেতা হিসেবে চিত্রায়িত করা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে উদ্ভট গল্প-গুজব তৈরি করা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কল্পকাহিনি প্রচার করা, সর্বোপরি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করা। ভারতের এসব পরিচিত মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর কারসাজি বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায় ইতিমধ্যেই ধরে ফেলেছে। তাদের প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে এদেশে জনমত গড়ে উঠেছে। আর দেশে-বিদেশে এসব ভারতীয় মিডিয়ার গ্রহণযোগ্যতা কমে গিয়েছে এবং তারা পাঠকের কাছে নিন্দিত হয়ে পড়েছে। এভাবে সেসব ভারতীয় মিডিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এখন তারা দায় এড়ানোর জন্য নতুন কৌশল বেছে নিয়েছে। আর এ কৌশল বাস্তবায়নে মাঠে নামানো হয়েছে কতগুলো অখ্যাত ঠিকানাবিহীন অনলাইন মিডিয়াকে। এসব ঠিকানাবিহীন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো মূলত ভুয়া খবর ও গুজব তৈরির কারখানা। এগুলো ওয়ার্ড প্রেস প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করা হয়। যোগাযোগের জন্য তাদের থাকে শুধু একটি ইমেইল ঠিকানা। তবে প্রকাশক, সম্পাদক বা মালিকানার বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য উল্লেখ করা হয় না। এর অর্থ হলো ইচ্ছাকৃতভাবে এসব নিউজ পোর্টালগুলোর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এসব নিউজ পোর্টালগুলো প্রায়ই বাংলাদেশ সম্পর্কিত সংবেদনশীল বিভিন্ন আজগুবি বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে, যেন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা যায় এবং বিশ্বের সামনে এদেশ সম্পর্কে ভীষণ নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। সাম্প্রতিককালে এদের প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু এবং বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্যের ধরণ দেখে অনুমান করা যায় যে এরা ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া নেটওয়ার্কের অংশ এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী আদর্শের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এরা প্রায়ই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে থাকে।

৩ মে ২০২৫ বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় মহাসমাবেশ করেছে। প্রধান চারটি দাবি নিয়ে ওই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। দাবি চারটি হলো, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করা, সংবিধানে বহুত্ববাদের প্রস্তাব বাতিলপূর্বক আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডসহ সব গণহত্যার বিচার করা এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা রাখা। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে। এ সংস্কার কমিশন ২০২৫ সালের ১৯ এপ্রিল একটি 'স্বতন্ত্র স্থায়ী নারী বিষয়ক কমিশন' প্রতিষ্ঠা করাসহ ১৫টি বিষয়ে মোট ৪২৩টি সুপারিশ পেশ করে। তবে সেখানে ইসলামী রীতি-নীতি, বিধি-বিধান ও এদেশের সামাজিক মূল্যবোধ বিরোধী কিছু প্রস্তাব পেশ করা হয়। এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় হেফাজতে ইসলামের নেতারা ওই মহাসমাবেশে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সম্পর্কে কঠোর ও কর্ষক ভাষায় বক্তব্য প্রদান করেন। এদিকে মহাসমাবেশে যোগদানকারীদের একটি মিছিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঝুলিয়ে রাখা প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ করে। উল্লেখ্য, টিএসসি এলাকায় ১ মে ২০২৫ ‘জাগ্রত জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক কর্মসূচিতে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে ফাঁসির দড়ি পরিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়। অতঃপর ৩ মে ২০২৫ হেফাজতে ইসলামের ওই মহাসমাবেশে যোগদানকারীদের কয়েকজন সেই প্রতিকৃতিতেই জুতা নিক্ষেপ করে। হেফাজত কর্মীদের দ্বারা শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ফ্যাসিবাদের দোসররা ছবিগুলো শেয়ার করে এর ক্যাপশনে অপতথ্য জুড়ে দেয়। তারা হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপের ঘটনাকে হেফাজত কর্মীদের দ্বারা নারীর প্রতি অবমাননার বহিঃপ্রকাশ বলে প্রচার করে। অর্থাৎ হাসিনার প্রতি ঘৃণা প্রকাশকে সমগ্র নারী জাতির প্রতি অবমাননা বলে অপপ্রচার চালানো হয়। এভাবেই হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করা হয়। আর এরই সূত্র ধরে ঠিকানাবিহীন কতক মিডিয়া বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডায় নেমে পড়ে। তৈরি করে মনগড়া প্রতিবেদন। এদের প্রতিবেদনের মূল কথায় বলা হয়, বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে, নারী সংস্কার কমিশনকে বলা হচ্ছে পতিতা কমিশন, নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে ইত্যাদি। এসব প্রতিবেদনে হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপের দুটি ছবি খুব বড় করে জুড়ে দেওয়া হয়। আর বিভিন্ন বর্ণনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ইসলামপন্থীদের দ্বারা পরিচালিত তাণ্ডবের এক ভয়াবহ দেশ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করা হয়। ইসলামপন্থীদের নারী বিদ্বেষী এবং নারীদের অধিকার হরণকারী হিসেবে প্রমাণের জন্য বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক ঘটনার উদাহরণ দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসকে ইসলামী মৌলবাদীদের লালনকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আল-কায়েদা, জামায়াতের নাম জড়িয়ে কল্পকাহিনি রচিত হয়।

প্রতিবেদনে পাঠকের আবেগকে উসকে দিতে ব্যবহার করা উদ্দীপক শব্দমালা (trigger words)। প্রতিবেদনে সাম্প্রতিককালে সংঘটিত দেশের কয়েকটি স্থানে নারী নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনাকে বিকৃত করে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের নারীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং তা একটি জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। নারীরা এখন রাস্তায়, কর্মস্থলে এমনকি পুলিশ স্টেশনেও নিরাপদ নয়। আইনের শাসন দুর্বল হয়ে পড়ায় চিহ্নিত অপরাধীরা নির্বিঘ্নে নারীদের টার্গেট করছে। খেলাধুলা বা মিডিয়াতে কাজ করা প্রগতিশীল নারীদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বিভিন্ন মিডিয়া হাউজকে হুমকি দিচ্ছে যেন তারা নারী কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। সরকারি ও বিচারিক কাঠামোও নারীদের সুরক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক নারী পুলিশের কাছে গিয়ে সঠিক সহায়তা পান না। মামলা চালাতে হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রিতা এবং নারীবান্ধব পরিবেশের অভাবে তারা অনেক সময় গ্রাম্য সালিশের দিকে ঝুঁকছেন, যা প্রায়ই অপরাধীর পক্ষেই যায়। বাংলাদেশের নারীরা ভয় আর অনিশ্চয়তার ছায়ায় বেঁচে আছেন। এই পরিস্থিতিতে যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দেশ এক অন্ধকার সময়ে প্রবেশ করতে পারে, যেখানে নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ থাকবে।

ঠিকানাবিহীন, সম্পাদনা পরিষদবিহীন এবং প্রতিবেদকের নামহীন এসব নিউজ ওয়েবসাইটগুলো বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের কথিত উত্থান ও উগ্রতা এবং নারীদের প্রতি তাদের কথিত বিদ্বেষ বিষয়ে ধারাবাহিক প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের প্রায় প্রতিটি রিপোর্টে ইসলাম ধর্ম, ইসলামপন্থী দল বা সংগঠন এবং বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। এসব অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর তৈরিকৃত বিভিন্ন প্রতিবেদনের একটি সাধারণ প্যাটার্ন হলো বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র, মৌলবাদী জনপদ এবং নারী অধিকারবিরোধী সমাজ হিসেবে তুলে ধরা। এতে একদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, অপরদিকে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়। বস্তুত এসব প্রতিবেদনের পেছনের উদ্দেশ্য আরও গভীরে। একটি উদ্দেশ্য হলো প্রফেসর ইউনূস সরকারকে অস্থির করে তোলা এবং এদেশে পুনরায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা। আর দ্বিতীয়টি হলো ভারতীয় জনগণের মাঝে বাংলাদেশ সম্পর্কে ঘৃণা ও ভীতির ধারণা তৈরি করে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী করা।

তাহলে এখন আমরা এসব ঠিকানাবিহীন প্রোপাগান্ডা কারখানাগুলো কীভাবে মোকাবিলা করবো? একে মোকাবিলা করার কৌশল ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদদের অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। ৩ মে ২০২৫ অনুষ্ঠিত হেফাজতের জনসভায় দু'একজন বক্তা অত্যন্ত কদর্য ভাষায় নারী সংস্কার কমিশনের সমালোচনা করেছেন। মনে রাখা প্রয়োজন পরিশীলিত ভাষা ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ যুক্তি তর্কের উপস্থাপনের মাধ্যমে যেকোনো বৈরী পরিস্থিতি ও বিরুদ্ধবাদী শক্তিকে নিজের অনুকূলে আনা যেতে পারে। সংবেদনশীল ভাষা পরিহার করা অতীব প্রয়োজন। এটা বোঝা দরকার যে ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি বাংলাদেশের ওপর মৌলবাদের তকমা লাগিয়ে দিয়ে আবার পূর্বের মতো ইউরোপ-আমেরিকাকে কাছে পেতে চাইছে। ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদদের এমন কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা উচিত নয় যা ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিরোধের চলমান সংগ্রামকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবে। কিছুকাল আগে ৭ মার্চ নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করেছিল। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছিলো। আর তাতে ওই মিছিল করার পেছনে যারা ইন্ধন দিয়েছিল সেই ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির লাভ হয়েছিলো। অতএব বিরুদ্ধবাদীদের হাতে প্রোপাগান্ডার অস্ত্র তুলে দেওয়া নির্বুদ্ধিতার কাজ।

সব শেষের কথা হচ্ছে, ঠিকানাবিহীন এ জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো কোনো মিডিয়াই নয়। এগুলো এক একটি রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা যন্ত্র। যাদের কাজ হলো ধর্মকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন তৈরি করা। সাংবাদিকতার মুখোশে অপসংস্কৃতি গড়ে তোলা। তাই এ ধরনের তথাকথিত মিডিয়ার মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়া প্রথম কাজ। আর দ্বিতীয় কাজ হলো এসব ঠিকানাবিহীন নিউজ পোর্টালগুলোর ব্যাপারে এদেশের জাতীয় গণমাধ্যম ও পাঠকদের সতর্ক হওয়া। বাংলাদেশের পাঠকদের উচিত এসব ঠিকানাবিহীন নিউজ পোর্টালগুলোর খবর না পড়া এবং এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করা। এদের বানোয়াট প্রতিবেদনগুলো শেয়ার করলে বরং তাদের কদর ও গুরুত্ব বাড়ে এবং কাটতি বা সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায়। এদের প্ররোচনায় নিউজ হাইপ তৈরি হয়ে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করে ও উত্তেজনা বাড়ায়। এভাবে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ হয়। বাংলাদেশের কতক জাতীয় পত্রিকা মাঝেমধ্যে এসব ঠিকানাবিহীন নিউজ পোর্টালগুলোর সূত্র ধরে খবর ছাপে বা মূল প্রতিবেদনটিই হুবহু ছাপিয়ে দেয়। এদেশের জাতীয় মিডিয়াগুলোর এ ধরনের চর্চা পরিত্যাগ করা উচিত। বস্তুত কোনটি মিডিয়া আর কোনটি মিডিয়া নয়, এই পার্থক্য বোধ সবাইকে বুঝতে হবে।

জুবায়ের হাসান ।। রাজনৈতিক বিশ্লেষক