বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। আগামী বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারাদেশের মহানগর ও জেলায় এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্র পতনের দাবিতে ও স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব বাতিলের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে আগামী বুধবার বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারাদেশে মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বরিশাল সদরে আয়েজিত সমাবেশে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পরে আরও কর্মসূচি আসবে কি না প্রশ্নে দলটির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ধাপে ধাপে অবশ্যই কর্মসূচি থাকবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সরকার পতনের আন্দোলন আমাদের চলমান আছে। আমরা বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করতে যাচ্ছি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে একটি সোর্সের ওপরে, একটি সাপ্লাইয়ের ওপরে আমাদের নির্ভর করা সমীচিন হচ্ছে না। কোনো দেশই একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তারা এই ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা নেয়নি, তারা একাধিক সূত্র থেকে ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের দেশেও বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত।
 
বিএনপি পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আপনারা নিজেরাই তো সাক্ষী, গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে- এই ঝগড়াটা কে লাগিয়েছে? বিএনপি না সরকারের পুলিশ। 

এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচআর/জেডএস