বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী/ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,‘নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অনেকের মৃত্যু হয়। এই সরকারের কাছে মানুষের মৃত্যু কোনো গুরুত্ববহন করে না। কিন্তু এই সরকারকে কে বোঝাবে, সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কোনো মৃত্যুর তুলনা চলে না।’

রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর দলীয় কার্যালয়গুলোতে কালো পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। কর্মসূচি পালনকালে দলটির নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ-কালো পোশাক পরিধান করবে।

ভিনদেশের কেউ সীমান্তে আমাদের দেশের নাগরিককে হত্যা করার সাহস দেখালে সেটি কোনো সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয় উল্লেখ করে রিজভী বলেন,‘সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শুধু লাশের সংখ্যা দিয়ে বিবেচ্য নয়। এর সঙ্গে দেশের মান-মর্যাদা, সম্মান ও সম্ভ্রমবোধ জড়িত। এই সরকার দিয়ে বাংলাদেশের মর্যাদা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’

গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি জাহিদুল ইসলামের লাশ কাঁটাতারের নিচে পড়েছিল দাবি করে রিজভী বলেন, সামিট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছিলেন- সীমান্ত হত্যায় ভারত একতরফাভাবে দায়ী নয়। আমাদের কিছু দুষ্টু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সীমান্তের ওপারে যায় এবং তাদের কাছে অস্ত্র থাকে। তখন ভারত বাধ্য হয়ে ভয়ে ওদের গুলি করে।’

রিজভী বলেন, আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্য মতে- আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১২ বছরে প্রায় ৫৫০ বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা করেছে বিএসএফ। এই করোনার মধ্যেও গত এক বছরে বিএসএফ’র হাতে খুন হয়েছে ৪৫ বাংলাদেশি। এছাড়াও সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ড ও নদীতে প্রায়ই বাংলাদেশির রহস্যজনক লাশ উদ্ধারের খবর গণমাধ্যমে আসে।

সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধে বর্তমানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা নেই বলেও দাবি করেন রিজভী।

এএইচআর/টিএম