তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গুলিস্তানে পাগল নাচলেও বিএনপির সমাবেশের চেয়ে বেশি লোক জড়ো হয়। প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকশ লোকের সমাবেশ করে বিএনপি বলে বিশাল সমাবেশ করেছে। ২ কোটি মানুষের ঢাকা শহরে কয়েকশ মানুষের সমাবেশ যদি বিশাল সমাবেশ হয়, তাহলে বুঝতে হবে, বিএনপির পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ বিএনপি সরকারের ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশ’-এ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে যেভাবে দেশের শত্রুরা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল, সেভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।

বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘হঠাৎ করেই সরকার পতনের খবর পাওয়া যাবে’ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এ কথার দুটি ব্যাখ্যা হয়। একটি হচ্ছে, তারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, আমাদের সরকারের বিরুদ্ধেও ১২ বছর ধরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আরেকটি হচ্ছে, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন দৈব দুর্বিপাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

আল জাজিরার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, তাদের অসত্য বানোয়াট প্রতিবেদন এ দেশ ও বিশ্বের মানুষ গ্রহণ করেনি। আল জাজিরা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। টিকা নেওয়ায় বিএনপি নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই তারা টিকা নিয়ে সুস্থ থাকুক। আমাদের একটি শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার।

ড. হাছান বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া দেশে একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এক মাসের বেশি তারা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষ আন্দোলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে জবাব দিয়ে তাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় দিয়েছিল।

তিনি বলেন, যে বিএনপির জন্মটাই ক্যান্টনমেন্টে, তারা আজ নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। বিএনপির বেশিরভাগ নেতাই দলছুট, যারা ফুটবল-ক্রিকেটে বেশি অর্থের বিনিময়ে দলবদলের মতো দলে ভিড়েছে, জিয়াউর রহমানের বিলানো ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট পেতে।

ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।

পিএসডি/আরএইচ/এমএইচএস