সরকারের একটি অংশ এবং কয়েকজন ব্যবসায়ীর সমঝোতার কারণে দেশে তেলের দাম বারবার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন তিনি। 

নুরুল হক নুর বলেন, তেলের এই সংকটটা যদি আজ প্রথম হতো তাহলে আমরা ধরে নিতাম আন্তর্জাতিক সংকটের কারণে এটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি এই সংকট অনেক আগে থেকেই দেশে লেগে আছে। যে পাঁচটা কোম্পানি পরিশোধিত তেল আমদানি করে তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তেল মজুত থাকার পরেও বাজারে সরবরাহ না করার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু অভিযান চালিয়েও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। যারা ব্যবস্থা নেবে তাদের উপরের মহল থেকে ফোন দিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, দুটি তেল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা স্পষ্ট করেই বলেছে, 'যথেষ্ট তেল কোম্পানিগুলোর কাছে রয়েছে। তবে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে সরকারের কয়েকজন এমপি, মন্ত্রী মিলে কারসাজি করে প্রতিদিন জনগণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রোজার শুরুর দিকে তেলের কোম্পানিগুলো দেখিয়েছে পর্যাপ্ত সাপ্লাই আছে এবং সরকারেরও কড়া নির্দেশনা ছিল। কিন্তু ঈদের আগে তারা এই সংকটটা তৈরি করেছে এবং মজুত তেল কম ছেড়েছে। এখন আবার এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে দিলো।

তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি সরকারের একটা অংশের সিন্ডিকেটের কারণে হয়েছে। এই লাভের অংশ সরকারের বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়েরও অনেকে পাচ্ছেন। কারণ আগামী নির্বাচন আছে। সরকার যেহেতু টিকে আছে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে খুশি করে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করে। সে কারণে বিভিন্নজনকে অবৈধ সুবিধা দিতে এই টাকাটা তাদের দরকার। এই কারণেই মূলত তেলের দামটা বেড়েছে এবং জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে।

গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে কি না জানতে চাইলে নুর বলেন, বিনা ভোটের অবৈধ মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের সর্বাত্মক আন্দোলন ব্যতীত গণমানুষের মুক্তি নেই। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা শিগগিরই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি দেবো।

এইচআর/এসকেডি