আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এটা গরিববান্ধব, ব্যবসাবান্ধব বাজেট। 

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বাজেট ঘোষণার পর জাতীয় সংসদ ভবনের গেটে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাজেট প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেভিড পরবর্তী সময়ে সংকট থেকে বেড়িয়ে এসে অর্থনৈতিক এলাকায় প্রত্যাবর্তন। এই বাজেট হচ্ছে কোভিড সংকট পরবর্তী বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে এ বাজেট কতটুকু আশা জাগাতে পারবে বলে মনে করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বাজেটে স্ট্যাবিলিটির নিশ্চয়তা আছে। সোশ্যাল সেফটি নেটের নিশ্চয়তা আছে, সেফটি নেট আগের চেয়েও ৭ হাজার কেটি টাকা বেড়েছে। সব দিক থেকে আজকে দেখুন এই অবস্থাতেও, গতবার যে বাজেট তিন হাজার কোটি টাকা, এবার সেখানে আরও সাত হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সব দিক বিচার বিশ্লেষণ করে, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সবাইকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কাজেই এটা গরীবের বাজেট, ব্যবসা বান্ধব বাজেট।’

‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বড় ব্যয়ের বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে চার লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যেখানে বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির আকার ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অনুদানসহ ঘাটতি থাকবে দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি।

প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের আয়ের খাতগুলো থেকে কর বাবদ তিন লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।

নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ২৭১ কোটি টাকা।

এইউএ/জেডএস