শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে, দেশের স্বাধীনতাসহ কল্যাণকর সব‌ই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কাফরুল থানা এবং ৪, ১৪, ১৬ ও ৯৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন-২০২২ এ তিনি এসব কথা বলেন।

কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, করোনা মহামারিতে সমগ্র বিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ, সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যার অসীম সাহসিকতায় দেশি-বিদেশি নানান ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু এখন এদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সক্ষমতার প্রতীক।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ এর পরাজিত শত্রু বাংলার প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর নামকে মুছে ফেলার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু আজীবন বাংলা ও বাঙালিকে ভালোবেসে তাদের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তাই যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি থাকবে, ততদিনই বঙ্গবন্ধু সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে দেশের শিল্প খাতের সম্প্রসারণের মাধ্যমে একটি শিল্পোন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিদ্যমান করোনাসহ সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাঙালি জাতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই গড়ে তুলবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস. এম. মান্নান কচি, দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পী এবং কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি