গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেছেন, নড়াইলে শিক্ষক নির্যাতন ও সাভারে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতা ও ইন্ধনই প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।  

তারা আরও বলেন, নড়াইলে ঘটনায় দেখা যায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননাকারী নুপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থনকারী শিক্ষার্থী জনরোষ থেকে বাঁচতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের রুমে যান। ঘটনাক্রমে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষককে জুতার মালা পরানোর ঘটনার সময়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কারণে স্বার্থ হাসিল করতে না পারা স্থানীয় সরকার দলীয় ব্যক্তিরাই এ পুরো ঘটনার সুযোগ নিয়ে মানুষকে ক্ষেপীয়ে তুলেছিল।

গণসংহতির এ দুই নেতার দাবি, অন্যদিকে দেখা যায় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনার সামাল দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এ ব্যর্থতার কারণ অদক্ষতা যেমন, তেমনি বলা যায় একটি স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সঙ্গে কোন বিশ্বাসযোগ্যতার সম্পর্ক না থাকা। কিন্তু এটা পরিষ্কার ভাবেই বলা যায়, শিক্ষককে জুতার মালা পড়াবার মত অসম্মানের উস্কানি স্থানীয় নেতারা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে তার বাস্তবায়ন হয়েছে। তারা সবাই এ ঘটনার জন্য নানা মাত্রায় দায়ী।

নড়াইলে শিক্ষকের সঙ্গেও এ ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, এখানে পুলিশ নীরব থেকে বরং অপরাধ সংগঠিত হতে দিয়েছে। অপরাধীদের সহায়ক হতে দেখা গেছে পুলিশকে।

বিবৃতিতে বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানা যায় হামলাকারী প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান, স্কুল কমিটির সভাপতির নাতি এবং স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। দুইদিন পার হয়ে গেলেও যে স্ট্যাম্প দিয়ে শিক্ষককে আঘাত করা হয়েছে তা আলামত হিসেবে পুলিশ সংগ্রহ করেনি। ক্ষমতার কাছাকাছি থাকলে যে অপরাধ করেও বিচারের সম্মুখীন হতে হয় না এ ধারণা যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন যারা নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করেন তারা যা খুশি তাই করতে থাকেন। তাই আমরা প্রথমেই এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করি।

এএইচআর/আইএসএইচ