বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীন (আওয়ামী লীগ) সরকারের দুঃশাসন আর সিন্ডিকেটের কারণে জনগণ অসহায়। দেশ চলছে মাফিয়া শাসনের অধীনে। এখানে আইনের কোনো বালাই নেই। হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রীরা যা খুশি বলছে, করছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ জুন)  নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পরে অর্পণ সংঘের উদ্যোগে যুবদলের সাবেক নেতা মরহুম জিএস বাবুলের স্ত্রীর হাতে অর্থসহায়তা তুলে দেন রিজভী।  

তিনি বলেন, উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতুর ওপর নেমে ছবি তোলায় কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। অথচ কদিন আগে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিজের ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সেলফি তুলেছেন। আসলে এক দেশে দুই আইন চলছে। দেশে নির্বাচিত সরকার থাকলে তারা আইন মানত। তারা তো অনির্বাচিত। সেজন্য যখন যা ইচ্ছে, তারা তাই করছে। 

ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, মাফিয়া আওয়ামী লীগের লোকেরা সিন্ডিকেট করে দিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে। আজ সিন্ডিকেট এমনভাবে চেপে বসেছে যে, মানুষ মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না। কুরবানির হাটেও সিন্ডিকেট করছে আওয়ামী লীগের লোকজন। সরকারদলীয় লোকেরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের পশু কিনতে বাধ্য করছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ ঈদের প্রাক্কালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে হাপিত্যেশ করছে। সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে। মানুষ বন্যার পানিতে ভাসছে, তাদের দিকে সরকারের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা পদ্মা সেতুর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ডা. জাহেদুল কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও অর্পণ সংঘের বীথিকা বিনতে হোসাইন, ওমর ফারুক কাওসার ও আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।

এএইচআর/আরএইচ