একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আংশিক হলেও যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচার অদৃশ্য কারণে আটকে আছে। এই বিচার না হলে সাম্প্রদায়িক শক্তি আস্কারা পেতে পেতে দেশকে আফগানিস্তানের মতো ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে যাবে। 

আজ (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মরণে সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। 

আলোচনা সভায় শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছেন। 

আরও পড়ুন : সরকারের পতন ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি : মির্জা আব্বাস

সাম্প্রদায়িক শক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের মোকাবিলায় গণজাগরণ ও গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি ১৪ দলকে আহ্বান জানান।   

ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাহাত্তরের সংবিধানে চার মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশ একটি শুভ পরিণতির দিকে ধাবিত হয়েছিল। ১৫ আগস্টের হৃদয় বিদারক ঘটনা জাতির প্রেক্ষাপট বদলে দেয়। স্বাধীনতাবিরোধী সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদ সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম সংযোজন করে দেশকে পশ্চাদপদতার দিকে নিয়ে যাওয়ায়, আজ অবস্থা ভয়াবহ। জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে এর খেসারত দিতে হচ্ছে। শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ তারই লক্ষণ। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, বাংলাদেশ আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ। 

আইবি/এনএফ