এইভাবে রাস্তায় সমাবেশ করে হবে না, আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হলে বিএনপিকে হরতাল-অবরোধে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ কথা জানান। ভোলায় পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের হত্যা ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদি বিএনপি শক্তভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় এ সরকার এক মিনিট ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। আমাদের সীমানা আটকে গেছে প্রেসক্লাব আর বিএনপি অফিস পর্যন্ত। এর বাইরে যদি আমরা না যেতে পারি তাহলে কখনোই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে এর বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে, আমাদেরকে মিছিলে নামতে হবে, আমাদেরকে হরতালে যেতে হবে, আমাদেরকে অবরোধে যেতে হবে- তাহলে সরকারের পতন ঘটবে, নইলে এই সরকারের পতন ঘটবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কর্মসূচিতে আমরা যদি হার্ডলাইনে না যাই এবং সরকারকেও আমরা আমাদের শক্তি প্রদর্শন না করি তাহলে সরকার সরকারের জায়গা থাকবে আর আমরা জনসভা করব, অগণিত মামলায় জর্জরিত হবো। কিন্তু আমরা সরকার পতন ঘটাতে পারব না।

তিনি বলেন, আমি এখনও মনে করি, রাজপথের আন্দোলনে থাকার মতো শক্তি সাহস আমরা আছে, আমরা যখন শক্তি আছে তখন প্রত্যেকেরই আছে। আমরা কেউ কাপুরুষ নই। সেজন্য বলছি, আমরা এখানে যে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি করছি তার বাইরে গণতন্ত্র ও সংবিধান সম্মতভাবে অনেক কর্মসূচি আছে, যে কর্মসূচি আমরা রাজপথে দিলে সরকারের বুক কেঁপে উঠবে। সেখানেই আমাদের যেতে হবে।

এএইচআর/আইএসএইচ