বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সরকারী কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আল-আমিন এবি পার্টিতে যোগদান করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।

এবি যুব পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আলী নাসের খানের সঞ্চালনায় এবং দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, গতানুগতিক ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতা আর এবি পার্টির প্রস্তাবিত ইস্যু ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের রাজনীতির সমন্বয় হলেই রাষ্ট্রের চেহারা পাল্টে যাবে।

তিনি বলেন, সদ্য যোগদানকৃত নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি ও ক্যাম্পেইন ইতোমধ্যেই সর্বমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন, কোভিড আক্রান্তদের জন্য সাহায্য কেন্দ্র স্থাপন করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেল না করা, সীমান্ত হত্যা বন্ধে রাজু ভাস্কর্যে ৫৪ দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালনসহ সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তার সরব অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক বাম নেতা আনিছুর রহমান কচি বলেন, রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে সুন্দরবন ধ্বংস করার বিপক্ষে গড়ে ওঠা পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনেও নাসিরের ছিল সক্রিয় অংশগ্রহন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবি পার্টির নতুন রাজনীতিতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নাসির দেশ ও জাতির সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদ্য যোগ দেওয়া ছাত্রদলের সরকারী কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আল-আমিন। তিনি বলেন, আমরা সকলে মিলে এবি পার্টির নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

সংবর্ধিত হয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ক্যাম্পাসে রাজনীতির পাশাপাশি আমরা অনেকেই নতুন দল হিসেবে এবি পার্টির কার্যক্রম গভীর আগ্রহ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। আমাদের প্রজন্ম চলমান জাতীয় রাজনীতির ওপর বেশ বিরক্ত, পাশাপাশি তারা সময়ের সাথে প্রাসঙ্গিক এক ধরনের নতুন রাজনীতি উন্মেষ হোক- সেটা চায়। ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের হলের সিট নিয়ে নোংরামি, গণরুমের নির্যাতন, মিছিল-মিটিংয়ে শুধু পরিবার ও নেতা-নেত্রীর পূজা করবার যে রাজনীতি চলছে, আমরা সকলেই তার থেকে মুক্তি চেয়েছি। আমি আশাবাদী, এবি পার্টির নেতৃত্বে সেবা ও ইস্যুভিত্তিক সমস্যা সমাধানের রাজনীতি নতুন প্রজন্মের নজর কাড়বে। আমি এবি পার্টির যোগ্য ও নিষ্ঠাবান নেতৃত্বের ব্যাপারেও আশাবাদী যে তাদের মাধ্যমে দেশ মেরামতের কাজ এগিয়ে যাবে, আর এই লড়াইয়ে আমি আমার সর্বস্ব বিলিয়ে দেবো দেশের জন্য। 

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, তরুণরাই পারবে রাষ্ট্র মেরামতের এই কঠিন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে; নাসিরদের মতো তরুণরাই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে বারবার লড়াই করে যাবে এমনটাই আশা। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, স্টুডেন্টস উইংয়ের সমন্বয়ক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স।

জেইউ/এনএফ