বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় জাতীয় স্বার্থে সবারই এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু জঙ্গিবাদকে পুঁজি করে যারা লুটপাট করছে তাদের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, সরকার চারপাশে ঘুরছে। বন্ধু খুঁজে পাচ্ছে না। দেশে তাদের কোনো বন্ধু নেই। পাশের দেশ এখন বুঝেছে। এতদিন বুঝলে বাংলাদেশের এতো দুর্দশা হতো না। তারা এখন বলেছে তাদের বন্ধুত্ব ব্যাক্তি নয় বরং দেশের জনগণের সঙ্গে। তারা এই কথায় থাকলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ২৫ বছর নয় আজীবন দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বন্ধুত্ব রাখতে চাই।

গয়েশ্বর বলেন, বক্তৃতা দিয়ে একসময় মানুষকে আকৃষ্ট করে দলে আনা যেত। এখন শুধু অর্থই মূল। এসব পরিবর্তনের কারণে লুটপাটকারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের কথা তারাই বলে যারা লুটপাট করে জনগণকে ফাঁকি দিয়ে। জনগণকে বুঝায় আমরা তোমাদের উন্নয়ন করছি। অথচ উন্নয়নের টাকা জনগণের।

জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি বলেন, দেশে জাতীয় ঐক্য দরকার। যার ফসল জনগণের ঘরে যাবে। বিএনপি সেই চিন্তা নিয়েই কাজ করছে। ফ্যাসিবাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে ঐক্যের বিষয়ে শিগগিরই আলোচনা হবে। ঐক্য নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতারণাও হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের পর অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামত করা হবে। রূপরেখা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় আমাদের একসঙ্গে পথ চলতে হবে। আগে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। আন্দোলনে চলার পথে রাষ্ট্র মেরামতের পরিকল্পনা নেব। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠনে আইনসহ অনেক কিছু সংস্কার করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রশাসনকে বলবো জনগণের পাশে আসুন এখনো সময় আছে। আপনাদের চাকরি যাবে না। আর যদি জনগণের পাশে না থেকে সরকারকে রক্ষায় থাকেন তাহলে এর পরিণতি ভালো হবে না। যে কেউ হোক এর পরিণতি ভোগ করতেই হবে।

শাহ মোয়াজ্জেম সম্পর্কে তিনি বলেন, শাহ মোয়াজ্জেম কখনো আলোচিত, কখনো প্রশংসিত এবং কখনো সমালোচিত হয়েছেন। তার বক্তব্য ছিল অত্যন্ত ক্ষুরধার। তরুণ অবস্থা থেকেই তিনি বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি টানা ৩ বার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন। একসময় দেশে মেধাবীরা রাজনীতি করতো। এখন তারা রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে। তা দখল করছে করপোরেট হাউজের লোকেরা।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সহ সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, আনোয়ার হোসেন, শাহ মো. নেছারুল হক, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ। 

আইবি/এসএম