২২ হাজার নয়, ৭০ হাজার চেয়ার ছিল : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রংপুর থেকে দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের চেয়ার গুনেছেন। সম্মেলনে ২২ হাজার নয়, ৭০ হাজার চেয়ার ছিল, আমি চ্যালেঞ্জ করলাম।
সোমবার (৩১ অক্টােবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নির্ধারিত ২২ হাজার চেয়ারও পূরণ হয়নি। এর জবাবে আজ ওবায়দুল কাদের এ কথা বললেন।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, আমরা ঐক্যবদ্ধ ১৪ দল। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিকে একত্রিত করে বিএনপি নামক অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে এদেশের নালিশ পার্টি, আর এই নালিশ পার্টি হচ্ছে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
বিজ্ঞাপন
দুর্নীতির বরপুত্র হাওয়া ভবনের যুবরাজকে ১০ ডিসেম্বর দেশে ফিরিয়ে এনে বিএনপি নাকি ক্ষমতায় বসবে, বিএনপি নেতাদের এমন অবাস্তব বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা বিএনপির রঙিন খোয়াব ছাড়া আর কিছু নয়।
১৪ দলীয় জোটের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রতীক শেখ হাসিনা পরাজিত হতে পারেন না।
মুক্তিযুদ্ধ আজ হুমকির মুখে, স্বাধীনতার সব শক্তিকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এক থাকলে বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বিএনপিকে জাতীয়তাবাদী চামচা দল আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোন মুখে মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার মুক্তি চান? তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির জন্য গত ১৩ বছরে ১৩ মিনিটও আন্দোলন করতে দেখিনি দলটিকে।
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আবার বসাতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে।
বিএনপি ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন যতদিন পালন করবে ততদিন তারা জনগণ থেকে পিছিয়ে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর শাহাদাত হোসেন ও জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারসহ জাসদের অন্যান্য নেতারা।
জেডএস