তারেক রহমান পরিবার থেকে শিষ্টাচার শেখেননি : শ ম রেজাউল
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আজ দেশে যদি আইনের শাসন না থাকত, তবে বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে পৌঁছাত না। শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চাইলেন যে খালেদা জিয়া, তাকে তিনি কারাগারে নার্সিং করার সুযোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আদালতের মহানুভবতা পাননি, জামিন পাননি। শেখ হাসিনা তাকে বলেন, তুমি জল খাও আর যাই খাও, বাসায় বসে খাও। এই মহানুভবতা শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ কোনদিন দেখাতে পারতেন না। তারপরও অসভ্য, অনৈতিকতাপূর্ণ, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান বিদেশে বসে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সম্পর্কে যে ভাষায় কথা বলে, তাতে আমার মনে হয় শিষ্টাচার, সভ্যতা, ভদ্রতা তিনি পারিবারিকভাবে কোনোদিন শেখেননি।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ‘জেল হত্যা, আইনের শাসন, সংবিধান ও সাংবিধানিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, রাষ্টের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। ধর্মনিরপেক্ষতা হবে রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ। জিয়াউর রহমান যেই পথে শাসন করেছিলেন, তেমনি খালেদা জিয়া একই কায়দায় চালিয়েছেন, যা সংবিধান পরিপন্থী। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন খালেদা জিয়া। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। সাত খুনের বিচার হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন জিয়াউর রহমানের শাসনামল অবৈধ ও অসাংবিধানিক।
বিজ্ঞাপন
অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বাঙালির আত্মমর্যাদার কথা ভাবতেন বলেই মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ১১ মাসের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই দেশের সংবিধান প্রণয়নে বঙ্গবন্ধু একটি কমিটি করে দেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। যুদ্ধে বিজয়ী কোনো একটি নতুন দেশে এত অল্পসময়ে সংবিধান প্রণয়ন ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এটি বঙ্গবন্ধুর একটি অনন্য সাফল্য।
আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন বাংলাদেশের সংবিধান রচনার পটভূমি। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা শুরু হয়। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে কারাগারের অভ্যন্তরে হত্যার পর ৭২ এর সংবিধানকে কাটা-ছেঁড়া করা হয়। দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। সংবিধানবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড চলতে থেকে। কোনো একক শাসক বা ব্যক্তির ইচ্ছায় সংবিধান পরিবর্তন করা যায় না। সংবিধান পরিবর্তনের পদ্ধতি ও রীতি রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আইন সম্পাদক ড. ওহিদুর রহমান টিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।
এমএইচএন/আরএইচ