জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বিএনপি শুধু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় আর আওয়ামী লীগ চায় বিএনপি যেন রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে না পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে দুটি দলই দেশের মানুষের কথা ভাবছে না। জাতীয় পার্টি ছাড়া কোনো দল জনগণের কষ্ট বোঝে না।

শনিবার (৫ নভেম্বর ) দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ মারাত্মক কষ্টে আছেন। আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। দেশের খেটে খাওয়া মানুষ বুঝতে পারছে কষ্ট কত অসহ্য।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। মানুষের কষ্ট দেখে সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে বলে মনে হচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্বের সব দেশেই জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তাই আমাদের দেশেও বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, সব দেশই মানুষের কষ্ট দূর করতে নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেশে তো কাউকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দুর্নীতি, দুঃশাসন এবং লুটপাটের জন্য দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। অর্থনৈতিক সংকটে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। 

তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী জানেন না ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ৮৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুঃশাসনে দেশের মানুষ বিরক্ত। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দ্রব্যমূল্যে বাড়িয়ে দিচ্ছে, দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী আছে বলে মনে হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কর্তৃপক্ষ আছে বলে প্রমাণ হয় না। 

চুন্নু বলেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও বেকারত্ব নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পাটির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।

এএইচআর/এমএ